অন্ধের ষষ্টি । ২১৭ ভাঙ্গিয়া দিবার মুনিমনোমোহন যষ্টির—মহিমা সেই ঐন্দ্রজালিক ব্যতীত আর কেহই বলিতে পারে না । ঘষ্টির গুণে বাকী পথ সোজা হইয় আসে, অপথ কুপথ স্বপথ হইয়া আসে, দূর নিকট হইয়া আসে, বিদেশ স্বদেশ হইয় পড়ে। এই ঐন্দ্রজালিক যষ্টি ঘুমন্ত পথিককে জাগ্রত করে, দুৰ্ব্বল পথিককে সবল করিয়া দেয়, পথিক চলিতে না পারিলে তাহাকে চালাইয়া লয়, আর অন্ধ পথিকের সহস্ৰ দিব্যচক্ষু ফুটাইয় দেয় । যেমন গৃহপালিত স্বশিক্ষিত ঘোড়ার উপর একটা "শিশুকে বসাইয়া দিলে সে আপন আপনিই, শিশু তাহাকে চালাইতে না জানিলেও, .শিশুকে পৃষ্ঠাসনে লইয়। ধীরে ধীরে প্রভুর বাটীতে গিয়া পৌঁছে, সেইরূপ এই যষ্টিও অন্ধকে অলক্ষিত লক্ষ্য স্থানে উপস্থাপিত করে। কঠোপনিষদে লিখিত আছে— "এতদেবাক্ষর ব্ৰহ্ম এতদ্ধেবাক্ষ রং পরং । এতদেৰাক্ষরং জ্ঞাত্বা ষো যদিচ্ছতি তস্য তৎ ॥ এতদালম্বনং শ্রেষ্ঠমেতদালম্বনং পরং । এতদালম্বনং জ্ঞাত্বা ব্ৰহ্মলোকে भरोबार्ड ון" এই অক্ষরই ( আদিনাম-বীজ ) ব্রহ্ম, এই অক্ষরই শ্রেষ্ঠ, এই অক্ষরকে জানিয়া যে যাহা ইচ্ছা করে, তাহার তাঁহাই হয়। এই আলম্বনই শ্রেষ্ঠ, এই আলম্বনই প্রশস্ত, এই অালম্বনকে জানিতে পারিলে ব্রহ্মলোকে গতি ও ব্রহ্মরূপত্ব লাভ হয় । সাধুবুদ্ধি সভ্যমহোদয়গণ বিহার ও পশ্চিমোতর
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/২২৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।