পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/২৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্ধের যষ্ট্রি। ২২৯ বিসর্জন দিয়াছিল । চিন্তাই তাহার দিবারাত্রির চিত্ত৷ হইয়া উঠিয়াছিল। চিন্তা বিল্বমঙ্গলের বাসভূমির নিকটে প্রবাহিত নদীর পরপারে বাস করিত । বিল্বমঙ্গলের পিতৃশ্ৰাদ্ধ উপস্থিত ; সে সেদিন চিত্তার নিকট আসিতে পরিবে না, তাহ চিন্তাকে পূৰ্ব্ব দিন বলিয়। বিদায় লইয়। আসিয়াছিল। শ্রান্ধের সমস্ত আয়োজন, পুরোহিত মন্ত্র পড়িতেছেন, বিল্বমঙ্গল তাহাই প্রতিধ্বনি করিতেছে । কিয়ৎক্ষণ মন্ত্র উচ্চারণ করিতে করিতে চিত্তার চিত্ত । বিল্বমঙ্গলের হৃদয় বিলোড়িত করিয়া তুলিল' আর কোন কিছুই ভাল লাগে না ; কোন ক্রমে শ্রাদ্ধ সমাপ্ত করিয়া তাড়াতাড়ি ব্রাহ্মণগণকে ও দীনদুঃখীকে ভোজন করাইয়। দিবাবসান হইতে না হইতে চিন্তাকুলিতপ্রাণ বিল্বমঙ্গল চিন্তার ভবনাভিমুখে দৌড়িল ; কত লোকে বুঝাইল, শ্রদ্ধ-বাসরে তথায় যাইতে নাই, কিন্তু একথা শুনে কে ? চিন্তার চিন্তা বিল্বমঙ্গলের হৃদয় অধিকার করিয়াছে, এখন কি আর ধৰ্ম্ম, কৰ্ম্ম, ধ্যান, জ্ঞান বিল্বমঙ্গলের হৃদয়ে স্থান পায় ? বিল্বমঙ্গল কাহারই কথা শুনিল না, কোন বাধাই মানিল না, মনের আবেগে দ্রুতবেগে নদীর পারঘাটের দিকে ছুটিল । নদী-তীরে বিল্বমঙ্গল উপস্থিত হইল ; প্রবল বেগে ঝড় উঠিল ; গগন-মওল ঘোর মেৰে আচ্ছন্ন হইয়া গেল ; বিদ্যুদৃ-বিকাশে বঙ্গ-নির্ঘোষে শূন্য মণ্ডল আকুলিত হইল ; প্রাণী মাত্রেই ত্রস্ত ব্যস্ত হুইয়া উঠিল ; মুষল ধারায় বৃষ্টিতে আকাশ যেন ভাঙ্গিয়া পড়িল ; তুফানে তরঙ্গে নদী বড় ভয়ঙ্কর হইয়া উঠিল। বিল্বমঙ্গল