পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্ধের যষ্টি। ২২৩ নিরুপায় হইয়া এদিক ওদিক দেখিতে দেখিতে দেখিল, গুহের প্রাচীরে একগাছি রজ্জ্বর ন্যায় কি ঝুলিতেছে । বিশ্বমঙ্গল রজ্জ বোধে তাহাই ধরিয়া প্রাচীর লজ্ঞানপূর্বক গৃহে প্রবেশ করিল ; চিন্তাকে বারংবার ডাকিল ; চিত্ত৷ চকিত ও চমকিত হইয়া বিল্বমঙ্গলকে দ্বার খুলিয়া দিল। উলঙ্গ বিল্বমঙ্গলকে দেখিয়া চিন্তা জিজ্ঞাসা করিল, তুমি এই ভয়ঙ্কর সময়ে নদী পার হইলে কিরূপে ? গৃহের দ্বার ত খোলা ছিল না, তুমি ভিতরে আসিলেই বা কিরূপে ? বিল্বমঙ্গল প্রাচীরে রজ্জ্ব, ও নদীতে কাষ্ঠ:ফলকের কথা বলিলেন; কিন্তু বিশ্বমঙ্গলের গারের দুর্গন্ধে চিন্তার সন্দেহ জন্মিল । একটু বৃষ্টি থামিলে চমৎকৃতচিত্তে চিত্ত বিশ্বমঙ্গলের সহিত বাহিরে গিয়া দেখে, প্রাচীরে রজ্জ নহে, একটী গৰ্বে মুখ দিয়া একটী কালসৰ্প ঝুলিতেছে ; নদীতে কাষ্ঠ-ফলক নহে, একটা মৃতদেহ । চিত্তা অবাক হইল, গাত্র সিহরিয়া উঠিল ; বিল্বমঙ্গলও চিন্তাকে পাইয়া সচেতন হুইয়াছিলেন, তিনিও স্তস্তিত হইয়া রছিলেন । সেই কালরাত্রিতে চিন্তা বিশ্বমঙ্গলকে আদর না করিয়া অতিশয় তিরস্কার করিল ; বলিল, তুমি ব্রাহ্মণকুমার হইয়া একে ত বেশ্যাতে আসত, তাহাতে যে অসম সাহসিক কাৰ্য্য করিয়াছ, তাহাতে নিশ্চয়ই প্রাণ হারাইতে, ভগবানের কৃপায় বাটিয়া গিয়াছ ; আমাকে তুমি যেরূপ ভালবাসিয়াছ, এই ভালবাস। যদি তোমার ভগবানের দিকে হুইত, তাহা হইলে আজ তুমি শব-সাধক সিদ্ধপুরুষের ন্যায় ভগবানের চরণলাভ করিতে পারিতে ; তোমাকে ধিক্ক । যে একটা লামান্য