পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/২৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*६२é পরিব্রাজকের বস্তৃত। স্ত্রীলোকের জন্য তুমি পবিত্র ব্রাহ্মণের দেহ হারাইতে বসিয়াছিলে। কি জানি, কি লগ্নে চিন্তার তীব্র তিরস্কার বিত্বমঙ্গলের কর্ণকুহরে প্রবেশ করিল; তাহার হৃদয়-তন্ত্রীতে নুতন স্বর বাজিয়া উঠিল। বিল্বমঙ্গল আর কোন কথা কহিলেন না ; কি জানি, কি ভাবিতে লাগিলেন। জীবনের কত কথাই মনে পড়িতে লাগিল, বিবেকের জ্বলন্ত অগ্নি জ্বলিয়া উঠিল। নীরবে বসিয়া বিল্বমঙ্গল গুমুরে গুমুরে কাদিতে লাগিলেন। রাত্রি প্রভাত হুইল—বিল্বমঙ্গলের চিরদিনের কালরাত্রি প্রভাত হইল। তিনি মনে মনে প্রতিজ্ঞা করিলেন, আর এ পথে ফিরিব না, আর এ চিন্তা চিত্ত করিব না ; জীবনের ত জলজলি হুইয়াইছিল ; যাহার দয়ায় এই জীবন রক্ষিত হইয়াছে, অাজ হইতে সেই জগচ্চিত্তামণির স্বচারুচরণ-চিন্তায় জীবন অতিবাহিত করিব। চিত্তাকে কিছু বলিলেন না, মনে মনে চিন্তাকে গুরু বলিয়া প্রণাম করিলেন ; জার যে দিকে চক্ষু বাইল, সেই দিকে ধাবিত হইলেন। পথহারা পথিক বিহুমঙ্গল কোথায় যান, কি করেন, কোথায় খান, কোথায় শোন, কিছুরই ঠিকানা নাই ; মাতৃহারা শিশুর মত, কেবল চিন্তামণির চিত্ত করিতে করিতে, ভ্রমণ করিয়া বেড়ান। মনে প্রেমের উচ্ছাস উঠিয়াছে, প্রেমময়কে দেখিবার জন্য বিশ্বমঙ্গল পাগল হইয়াছেন ; কিন্তু পূৰ্ব্বসংস্কার এখনও ত যায় নাই। এক দিন পথিমধ্যে একটী রূপলাবণ্যবতী যুবতীকে দর্শন করিলেন ; তাহার অপরূপ রূপের ছটায় বিল্বমঙ্গলের চিত্ত আবার বিমোহিত হইল, যুবতীর পশ্চাতে পশ্চাতে চলিলেন । যুবতী একজন ধনবান বণিকের পত্নী, স্নান