পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জন্ধের ষষ্টি। ইইঞ্জ করিয়া আসিতেছিলেন, গৃহে প্রবেশ করিলেন। বিল্বমঙ্গল মণিহার। ফণীর মত উদাসচিত্তে দ্বারে বসিয়া পড়িলেন। বণিক গৃহদ্বারে একজন উদাস-চিত্ত অভ্যাগত ব্রাহ্মণকে দেখিয়া, তাহার আসিবার কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন। জাজ বিল্বমঙ্গল অকপটচিত্তে বলিলেন, তোমার স্বন্দরী যুবর্তী ভাৰ্য্যাকে একবার আমি প্রাণ ভরিয়া দেখিয়া লইব, এই বড় সাধ হইয়াছে; তুমি তাহাকে সম্মুখে আনিয়া দাও। অতিথিবৎসল বণিক ব্রাহ্মণের কথায় স্বীকার পাইয়া অন্তঃপুর হইতে রূপবতী ভাৰ্য্যাকে আনিতে গেলেন, এই অবকাশে বিহুমঙ্গলের অন্তর্জগতে আর এক মুহাপ্রলয় উপস্থিত হুইল । দীনদয়াময় কাঙ্গাস্তুের হৃদয়সৰ্ব্বস্ব ভগবান অজ্ঞানান্ধ বিৰ• মঙ্গলের দিব্যচক্ষু খুলিয়া দিলেন ; অমনি বিল্বমঙ্গল দোঁড়িয়। গিয়া, কি ভাবিতে ভাবিতে, দুইটী বেলের কাটা আনিলেন ; বণিকের রূপবতী যুবতী পত্নী সম্মুখে আসিলেন; বিল্বমঙ্গল একবার প্রাণের পিপাসা চিরদিনের জন্য নিবারণ করিবার নিমিত্ত যুবতীর পদ-নখ হইতে কেশ পৰ্য্যন্ত অতুল রূপ-রাপি দর্শন করিয়া লইলেন, আর নিজের চক্ষুদ্বয়কে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, চক্ষু ! তোমরাই আমার কাল হুইয়াছ, তোমরাই আমুকে মজাইয়াছ, তোমরাই আমাকে চিত্তার চিন্তায় জর্জরিত করিয়াছিলে, তোমরাই আবার এই রূপসীর সৌন্দর্ধ্যে আমাকে বিমোহিত করিয়া সেই পরম মুন্দর জগন্মনোমোহন রূপ দেখিবার বাধা জন্মাইতেছ, দেখিবার জিনিষ না দেখিয়া বৃথা কি দেখিয়৷ বিমোহিত হুইতেছি ? বুঝিলাম, তোমরাই অামার স্বপথের কণ্টক হইয়াছ, জার