ই ২৬ পরিব্রাজকের বস্তৃতা। কত কি দেখিবে, দেখার সাধ জন্মের মত মিটাইয় লও, এই বলিয়া হস্তস্থ বেলের কাটা দুটীর দ্বারা নিজের দুই চক্ষু বিন্ধ করিয়া ফেলিলেন। কণ্টকাঘাতে অজস্র রুধির-ধারা এবং ভগবানের অদর্শন জন্য পরিতাপের অজস্র অশ্রুধারা, গঙ্গা ও যমুনার সঙ্গমের ন্যায়, বিল্বমঙ্গলের গও বহিয়া বক্ষঃ ভাসিয়া যাইতে লাগিল । বণিক ও বণিক-পত্নী অবাক হইয়া কাতরে অাক্ষেপ করিতে লাগিলেন । অন্ধ বিল্বমঙ্গল কঁাদিতে কাদিতে, মধ্যে মধ্যে হরি হরি-ধ্বনির হুঙ্কার করিতে করিতে, চারিদিকে ছুটির বেড়াইতে লাগিলেন। অন্ধ অনাথ বিল্বমঙ্গলকে আজ যত্ন করে, এমন কোন লোক নাই। তিনি পথে পথে, গ্রামে গ্রামে, বনে বনে ঘুরিয়া বেড়ান ; তাহার তত্ত্ব লয়, এমন একটী লোক নাই। লোকে তাহার দিকে তাকাইল না সত্য; কিন্তু তিনি যাহার জন্য ঘর বাড়ী ছাড়িয়াছেন, যাহার জন্য চারিদিকে ছুটিয়া বেড়াইতেছেন, যাহার জন্য তাছার নয়নে ধারা বহিতেছে, যাহার জন্য র্তাহার প্রাণ কাদিয়া আকুল হইয়াছে, যাহার জন্য আজ তিনি সাধ করিয়া অন্ধ হইয়াছেন, সেই দয়ার ঠাকুর অলক্ষিত স্থানে থাকিয়াও তাছার প্রতি লক্ষ্য রাখিয়াছেন । অন্ধ বিল্বমঙ্গল বুরিয়া ঘুরিয়া ক্লান্ত শরীরে একদিন বিজন তুরুতলে বসিয়া ক্ষুধায় কাতর, পিপাসায় আকুল হইয়া অনাথের নাথ জগচ্চিত্তামণির স্মরণ করিতেছেন, আর বলিতেছেন, প্রভো ! একবার অন্ধকে দেখা দাও । দীনদয়াময় আর স্থির থাকিতে পারিলেন না। বৈষ্ণবী মায়ায় বিল্বমঙ্গলকে অভিভূত করিয়া একটী বালকবেশে তাহার নিকটে উপস্থিত হইলেন ; বলি
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/২৩৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।