পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্ধের যষ্টি। ૨૨૧ লেন, হে অন্ধ ! তুমি বড় ক্ষুৎপিপাসায় কাতর হইয়াছ দেখিতেছি ; এই লও মিষ্টান্ন, এই লও শীতল জল ; খাইয়। শরীর শীতল কর । কাতর বিল্বমঙ্গল হতে পাতিয়া তাহ{ লইলেন ; খাইয় তাহার প্রাণ জুড়াইল ; আহলাদিত হইয়। বালককে জিজ্ঞাসা করিলেন, বালক ! তোমার বাড়ী কোথায়, তোমার নাম কি, তুমি কি করিয়া থাক ? বালক বলিল, আমার বাড়ী অতি নিকটে ; আমার নাম কোন একটা নিরূপিত নাই, যে যাহা বলিয়া ডাকে আমি তাহাতেই উত্তর দিই; আমি গোপ-বালক, গোরু চরাইতে রোজ এই বনে আসি ; যে আমাকে ভালবাসে, আমি তাহাকে বড় ভালবাসি। বৈষ্ণবী মায়ায় বিমুগ্ধ বিল্বমঙ্গল এই বৃন্দারণ্যবিহারী গোপ-বালককে চিনিতে পারিলেন না ; বলিলেন, বায়ক ! আবার তুমি কবে আসিবে ? বালক বলিল, তুমি এই খানেই থাক, অসি তোমাকে রোজ খাইবার সামগ্ৰী অানিয়া দিব । “তেষাং নিত্যাভিযুক্তানাং ੰ बशंभाइम् ।” औष्ठ । বিল্বমঙ্গল সেই ভুবনমোহন বালকের স্বমধুর কথা শুনিয়া মনে তাহাকে বড় ভালবাসিলেন, আর বলিলেন, বালক । তুমি প্রত্যহ আমার কাছে আসিও । সেই বালক বিল্বমঙ্গলের অন্তরে সর্বদাই মৃত্য করিতে লাগিল ; আবার মাঝে মাঝে মূৰ্ত্তিমান হইয়া, বিল্বমঙ্গলের নিকটে আসিয়া, কাছে বসিয়া, নানা মধুর আলাপ করিত ও প্রত্যহ খাইবার সামগ্ৰী দিত। বিল্বমঙ্গল কয়েক দিনের মধ্যে মধুর ভাবে মোহিত হইয়া বালকগতপ্রাণ হুইয়া উঠিলেন।