পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের মুৰ্চ্ছাভঙ্গ । ১৩ . অজন্ত, কলি, ইলোর, এলিফেণ্টা আদির শিল্প-কীৰ্ত্তি-কলাপ এখনও ভারতের প্রাচীন পারদর্শীতা ও ক্ষমতার পরিচয় দিতেছে। আমাদের দুর্ভাগ্যদোষে আমাদের লক্ষী-জী লুক্কায়িত হইতেছে বলিয়া, প্রাচীন ভারতবাসীগণকেও অনেকে অসভ্য ও অশিক্ষিত বলিয়া বিশ্বাস করিয়া থাকে ; ইহা অল্প দুঃখের কথা নহে ! চিত্র-বিদ্যাতেও ভারতের সামান্য নিপুণতা ছিলনা। জনক-জুহিতা সীতার বিবাহ-সভার চিত্রপ্পানি যখন শ্রীরামচন্দ্রের রাজসভায় আনিত হইয়াছিল, তখন সভাস্থ ও অন্তঃপুরস্থ সকলে সকলের অবিকল চিত্র দেখিয়া চমৎকৃত হইয়াছিলেন। বারংবার রাজ্যবিপ্লবে চিত্র-বিদ্যার চিহ্ন মাত্র এখন আর দৃষ্ট হয় না। সামরিক বিদ্যাতে প্রাচীন ভারতবর্ষ বর্তমান সভ্যতাভিমানী সকল জাতি অপেক্ষা উন্নতি লাভ করিয়াছিল। পদতিক, অশ্বারোহী, রথী, ও হস্তীপৃষ্ঠে যোদ্ধৃবর্গ যথানিয়মে অপুৰ্ব্ব যুদ্ধ-কৌশল প্রদর্শন করিতেন। তখনকার বাহ রচনার সঙ্কেত বর্তমান বহনিৰ্ম্মাণ-কৌশল অপেক্ষা অতি উৎকৃষ্ট ছিল। অনেকের সংস্কার এই যে, প্রাচীন ভারতীয় বীরবর্গ শর শরাসন মাত্র, অথবা অসিচৰ্ম্ম, খড়গ গদা, আদি লইয়াই যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইতেন; কিন্তু এখনকার ন্যায়, তোপ ও বন্টকের নিকট তাহাদিগের যুদ্ধবিদ্য লজ্জা পাইয়া থাকে। যাহার রামায়ণ পাঠ করিয়াছেন, তাহার এরূপ ভ্রমে পতিত হয়েন না। রাম-রাবণের মহাসংগ্রামে শ্রীরামচন্দ্রের পক্ষ হইতে যে সকল অস্ত্র নিক্ষিপ্ত হইয়াছিল, তন্মধ্যে তোপের ও