ভারতের মুৰ্চ্ছাভঙ্গ । Y6t তাহা হইলে আমাদিগের ন্যায় কাপুরুষ, কপট, কৃতয় কে श्रांरछ ? জ্যোতির্বিদ্যায় ভারতবর্ষবাসীবর্গ যেরূপ উন্নতি লাভ করিয়াছিলেন, ততদূর অগ্রসর হইতে বর্তমান সভ্য জগতের এখনও অনেক বিলম্ব আছে। জ্যোতিঃশাস্ত্রের আচাৰ্য্যবর্গের মধ্যে কে পূর্ববর্তী, কে পরবর্তী, অনুসন্ধিৎস্নবর্গের মধ্যে তাহার ঐকমত্য দেখিতে পাওয়া যায়না । কাহারও মতে পরাশর, কাহারও মতে স্থৰ্য্যসিদ্ধান্ত, কাহারও মতে ব্রহ্মসিদ্ধান্ত, প্রথম জন্মগ্রহণ করিয়া জ্যোতিৰ্ম্মওলের গভীর তত্ত্ব-সমূহ আবিষ্কার করিয়াছিলেন। শম্ভূপ্রকাশ গ্রন্থের মতে প্রথমে সোমসিদ্ধান্ত, তৎপরে মুর্ধ্যসিদ্ধান্ত, ও তদনন্তর বরাহমিহির, জ্যোতিৰ্ব্বিদ মণ্ডলীর কুল আলোকিত করিয়া, ভারতের অশেষ গৌরব-বৃদ্ধি করিয়াছিলেন। ৫০০ খ্ৰীষ্টাব্দে অধ্যভট্ট, এবং ১১১৪ খ্ৰীঃ অব্দে ভাস্করাচাৰ্য্য, ভারতীয় জ্যোতিঃশাস্ত্রের বিশেষ উন্নতি সাধন করিয়াছিলেন । বৰ্ত্তমনে কালে রাজকীয় সাহায্য লইয়া কত কত জ্যোতিবেত্ত৷ চারুচিকণ যন্ত্রমণ্ডল সহ চন্দ্রস্থৰ্য্য, নক্ষত্রাদির গতিবিধি অাবিস্কার করিবার জন্য যত্ব করিতেছেন । কিন্তু ভারতীয় জ্যোতিৰ্ব্বিদগ্রগণ্য আচাৰ্য্যগণ সম্রাটের সাহায্য না পাইলেও, নিজ নিজ মার্জিত মস্তিষ্কের সুক্ষ বুদ্ধি-বিচার-শক্তির সাহচার্ধ্য দূরা রতর গগনমণ্ডল-মধ্যচারী গ্ৰহ নক্ষত্ৰবৃত্তাদির যে সকল তত্ত্ব আবিষ্কার করিয়া গিয়াছেন, এখনও তত্তাবৎ কুপিশকেশাবৃত মস্তক মধ্যে প্রতিভাত হইতে অনেক বিলম্ব আছে । সুমেরু-কুমেরু, চন্দ্রস্থৰ্য্যের গ্রহণ, নক্ষত্রবৃত্ত, রাশিচক্র, জোয়ার-ভাটাদির তত্ত্বনিরুপণ করিবার প্রযত্ন করিয়া
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/২৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।