ভারতের মূর্ছাভঙ্গ । , ᎼᎸ অনেকের এইরূপ ধারণা আছে যে, প্রাচীন আর্য্যজাতি পৃথিবীকে ত্রিকোণ বলিয়া জানিতেন। আজ ইংরাজ জাতির রুপাতেই আমরা পৃথিবীকে কমলালেবুর ন্যায় গোলাকার জানিয়াছি । কিন্তু ভারতে বিলাতী আলোক আসিবার বহুদিন পূর্বে স্বৰ্য্যসিদ্ধান্ত বলিয়া গিয়াছেন ঃ– “সৰ্ব্বতঃ পৰ্ব্বতারামগ্ৰামচৈত্যচয়ৈশ্চিত: | কদম্বকেশরগ্রন্থিকেশরঃ প্রসবৈরিব।” কদম্ব যেমন কেশর-সমূহে পরিবেষ্টিত, সেইরূপ পৃথিবীপিও সৰ্ব্বদিকেই গ্রাম, বৃক্ষ, পৰ্ব্বত, নদনদী, সমুদ্র আদির দ্বারা বেষ্টিত। কমলালেবুর দৃষ্টান্ত অপেক্ষ কি, কেশরবেষ্টিত কদম্বের দৃশুন্তটা ভূগোলত্বের অধিক পরিচায়ক নহে ? নক্ষত্রকল্পে লিখিত আছে ঃ– aকপিথফলবদ্ধিশ্বং দক্ষিণোত্তরয়োঃ সমং ।” পুথিবী কপিথফলের ন্যায় গোলাকার এবং উত্তর দক্ষিণে কিঞ্চিৎ চাপা। এই ভূগোলতত্ত্ব শিক্ষা দিবার জন্য আজ কাল যে গোলক ( globe ) নিদর্শন দ্বারা বিদ্যালয়ে ছাত্রদিগকে শিক্ষা দেওয়া হয়, তাহা ও প্রাচীন আর্য্যপদ্ধতির অনুকরণ মাত্র । আচার্য্য সুৰ্য্যসিদ্ধান্ত পদার্থদীপিকাতে লিখিয়াছেন ৪— “অভীষ্টং পৃথিীগোলং কারয়িত্ব তু দারবং। তদ্বং খগোলকং কৃত্বা গুরুঃ শিষ্যান প্রবোধয়েথ ॥* দারুময় ভূগোল ও খগোল রচনা করিয়া গুরু শিষ্যদিগকে শিক্ষা দিবেন। পৃথিবীর যে গতি আছে, অনভিজ্ঞ আমরা, তাহাই ইংরাজদিগের নিকট শিখিয়াছি বলিয়া, আবার গৌরব করিয়া থাকি ; কিন্তু রাজা বিক্রমাদিত্যের জীবিত সময়ের
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/২৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।