ভারতের মূর্ছাভঙ্গ । ఏసె লঙ্কায় যখন মুর্য্যের উদয় হয়, তখন যমকোটিপুরীতে দ্বিপ্রহর বেলা, লঙ্কার অধোভাগে সিদ্ধপুরে মুর্য্যের অস্তকাল, ও রোমদেশে রাত্রি । “ভদ্রাশ্বোপরিগঃ স্বর্ষ্যে ভারতেইত্রোদয়ং রবেঃ। রাত্ৰাদ্ধং কেতুমালাখ্যে কুরবেহুস্তমনং তদা ॥” মুর্ধ্য যখন ভদ্রাশ্ববর্ষে উদ্ধ স্থ হন, তখন ভারতবর্ষে উদয়কাল মাত্র আরম্ভ হয় ; কেতুমালবর্ষে যখন অৰ্দ্ধ রাত্রি, কুরুবর্ষে তখন স্বৰ্য্য অস্তমিত হন। - শাস্ত্রানভিজ্ঞ অনেক ব্যক্তিই বলিয়া থাকেন যে, সপের মাথার উপর পৃথিবী অবস্থিতি করিতেছে, ইহাই আৰ্য্যজাতির চির দিনের ধারণা। পৃথিবী যে শূন্য মণ্ডলে আছে, ইহা আমরা ইংরাজী শিক্ষার রূপায় জানিতে পারিয়াছি। আর্য্যশাস্ত্র পাঠ করিলে এই ভ্ৰম কুসংস্কার বিদূরিত হইবে। স্বৰ্য্যসিদ্ধান্ত বলিয়াছেন – “ভূগোলোব্যোমি স্তিষ্ঠতি।” গোলাকার পৃথ্বী শূন্য মণ্ডলে অবস্থিতি করিতেছে। ভাস্করাচার্ধ্য সিদ্ধান্তশিরোমণিতে লিখিয়াছেন ঃ—
- নান্যাধীরং স্বশাক্ত্য বিয়তিচ নিয়তং
তিষ্ঠতীহাস্য পৃষ্ঠে । নিষ্ঠং বিশ্বঞ্চ শশ্বং সদনুজমচুম্বা দিত্যদৈত্যং সমস্তাৎ ॥” পৃথিবী বিনা আধারে স্বীয় শক্তি দ্বারা আকাশ-মণ্ডলে অবস্থিতি করিতেছে । ইহারই পৃষ্ঠে চতুর্দিকে দেব, দানব, মানবাদি সমস্ত নিবাস করিতেছে । আজ কালের শিক্ষিত জগৎ বক্ষ বিস্ফারণ করিয়া বলিয়া