Ro . পরিব্রাজকের বক্তৃতা। থাকেন যে, সার আইজাক নিউটন জন্মগ্রহণ করিয়াই পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ-শক্তির গুঢ় প্রহেলিক উদ্ভেদন পূর্বক জগৎকে প্রথম জাগ্ৰত করিয়াছেন । বলিতে হাসি পায় যে, আর্য্যজাতি এ তত্ত্ব নিউটনের বিনা শিক্ষায় স্বয়মেব আবিস্কার করিয়াছিলেন। ভাস্করাচার্য্যকৃত গোলাধ্যায়ে লিখিত 四T互名一 “আকৃষ্টশক্তিশ্চ মহী তয় যৎ খস্থ গুরুঃ স্বাভিমুখং স্বশক্ত্যা আকৃষ্যতে তৎ পততীতি ভাতি সমে সমস্তাৎ রূপতত্ত্বিয়ং খে ॥" পৃথ্বী আকর্ষণ-শক্তি-বিশিষ্ট, কারণ কোন গুরুভার বস্তু আকাশে নিক্ষেপ করিলে পৃথিবী স্বীয় শক্তির দ্বার। তাহাকে নিজাভিমুখে আকর্ষণ করে ; কিন্তু পতন হয়, এরূপ অনুমান হয়, চারিদিকেই সমান আকাশ, অতএব পৃথিবী ভিন্ন কোথুীয় পড়িবে ? অার্য্যভট্টও বলিয়াছেন ঃ– g “আকৃষ্টশক্তিশ্চ মহী যৎ তয় প্রক্ষিপ্যতে তৎ তয়া ধাৰ্য্যতে ।” পৃথিবী আকর্ষণ-শক্তি-বিশিষ্ট ; কেন না, যাহ। প্রক্ষিপ্ত হয়, আকর্ষণ-শক্তি দ্বার। পৃথিবী তাহাই ধারণ করে। পুরাণাদির গুহ্য মৰ্ম্ম বুঝিতে ন পারিয়া, অনেকে রাহুকে একটা রাক্ষস মনে করেন । এই রাক্ষস চন্দ্র স্বৰ্য্যকে মধ্যে মধ্যে গ্রাস করে, তাহাতেই গ্রহণ হয়। পৃথিব্যাদির ছায়ায় যে গ্রহণ হইয়া থাকে, তাহ আৰ্য্যজাতি অবগত ছিলেন না । আমর। ইংরাজী পড়িয়াই তাহ জানিতে পারিয়াছি । শাস্ত্রচক্ষুবর্জিত অন্ধ আমরা, না দেখিয়া, ন শুনিয়া, সৰ্ব্বজ্ঞ আৰ্য্যঋষি মহোদয়গণকে কতই তিরস্কার করিয়া থাকি। ব্রহ্ম
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।