ভারতের মূর্ছাভঙ্গ । RY পুরাণে লিখিত আছে, ব্ৰহ্মা রাছকে সম্বোধন করিয়া বলি ८ड८छ्न 8 “পৰ্ব্বকালেতু সংপ্রাপ্তে চক্রাকে ছাদয়িষ্যসি । ভূমিছায়াগতশ্চন্দ্ৰং চন্দ্ৰগোহৰ্কং কদাচন ॥” তুমি পৰ্ব্বকালে (পূর্ণিমা ও প্রতিপদের সন্ধি এবং অমাবস্য। ও প্রতিপদের সন্ধি ) চন্দ্রস্থৰ্য্যকে আচ্ছাদন করিবে, অর্থাৎ পৃথিবীর ছায়ারূপ হইয়া চন্দ্রকে এবং চন্দ্রগত হইয়া স্থৰ্য্যকে আচ্ছাদন করিবে । সূর্য্যসিদ্ধান্ত বলিয়াছেন ঃ– “ছাদকো ভাস্করস্যেন্দুরধম্বোঘনবস্তুবেৎ । ভূচ্ছায়াং প্রমুখশ্চন্দ্রো বিশত্যর্থে ভবেদলে ॥” মেঘের ন্যায় চন্দ্র সুৰ্য্যের অধঃস্থ হইয়া সুর্য্যকে (সুর্য্যগ্রহণে) আচ্ছাদন করে, এবং চন্দ্র (গ্রহণকালে ) ভুচ্ছয়াতে প্রবেশ করে। অমরকোষ অভিধান পড়িলেই প্রতীতি হইবে যে, রাহু, তম, ভুছোয়। এক পৰ্য্যায়ের শব্দ। ইহা ছাড়া গ্ৰহ নক্ষত্রের লগ্ন প্রভাবাদি কালে পৃথিবী মধ্যে জৗৰু ও উদ্ভিদ প্রভূতিতে শক্তি সঞ্চারিত হইয়া, কখন কিরূপ ফলের উদয় হইয়া থাকে ; গ্ৰহ নক্ষত্রাদির গতি দেখিয় রাজ্যবিপ্লব, মহামারী, অতি রোগব্যাপ্তি, দুর্ভিক্ষ, স্বভিক্ষ আদির কিরূপে সঞ্চার হয় ; নক্ষত্র বিশেষে, লগ্ন বিশেষে, জন্মগ্রহণ করিলে, মানবের সমস্ত জীবনের মধ্যে কি কি ঘটনা ঘটিবে ; এতাবৎ জন্ম-পত্রিকাতে লিপিবদ্ধ করিতে আর্যাজ্যোতির্বিদগণ যেরূপ পারদর্শী ছিলেন, সেরূপ পৃথিবীর অন্যাংশে এ পর্য্যন্ত দৃষ্টিগোচর হয় নাই। স্বমার্জিত বুদ্ধি, বিদ্যা, পরাক্রম লইয়া ভারতবর্য সভ্য জগতের শিরোমণি হুইয়। কেমন মুন্দর আদর্শ-লিপি চিত্র করিতেছিল ; না জানি,
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/৩২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।