২৬ পরিব্রাজকের বস্তৃত । স্থল-ইনস্পেক্টরের সহিত সাক্ষাৎ হইলে, তিনি একটী কৰ্ম্ম প্রার্থনা করিলেন। ইনস্পেক্টর বাবু তাহার সার্টিফিকেট চাহিলেন । . পণ্ডিত মহাশয় সার্টিফিকেটে লিখিত কয়েক পঙক্তি যাহা মুখস্থ ছিল, তাহ আবৃত্তি করিয়া দিলেন। ইনস্পেক্টর বাবু সেই মূল-সার্টিফিকেট খানি দেখিতে চাহিলে, পণ্ডিত মহাশয় বলিলেন, আমার ঘরে যে পথি পত্র আছে, তাছাই বাধিবার কাপড় ও রাখিবার স্থান পাই না, আপনার সেই একটু কাগজ আবার কোথায় রাখিব ? তাহাতে যাহা লিখিত আছে, তাহ। ত আমার মুখস্থই আছে। আপ নার যতবার শুনিতে হয়, শুনিয়া লউন । ইংরাজী ব্যবস্থায় অনভিজ্ঞ, সরল, সাধু-হৃদয় পণ্ডিত মহাশয়ের কথা শুনিয়া ইনস্পেক্টর বাবু একটু হাসিলেন, ও নিজে অফিশ হইতে তাহার সাটিফিকেটের প্রতিলিপি আনাইয় তাহাকে যত্ব করিয়া রাখিতে বলিলেন, এবং তাহাকে একটা পণ্ডিতের পদে নিযুক্ত করিলেন । আমাদের ন্যায় সামান্য ব্যক্তিগণ যে সকল বিষয়কে অতি গুরুতর বলিয়া মনে করেন, প্রাচীন আর্ধ্যজাতি তাহ অপেক্ষাও বহুতর ও নিগুঢ়তর বিষয় সকলে মনোনিবেশ করিয়া এ গুলির প্রতি তত যত্নবান হইতে পারেন নাই। ভারতচন্দ্র লিখিয়াছেন, “ গুণ হয়ে দোষ হৈল বিদ্যার বিদ্যায়” । আর্য্যজাতির অতি গুণই আমাদিগের পক্ষে এখন বিগুণ হইয় দাড়াইয়াছে। তখন তাহার। যাহা তুচ্ছ বোধে ফেলিয়া দিতেন, এখন আমরা তাহা কুড়াইয়। পাইলে কৃতার্থ হইয়। যাই । - বিজ্ঞান-শাস্ত্রেও তাহারা যথেষ্ট পারদশিত দেখাইয়াছি
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/৩৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।