পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રક્ટ્ર পূরব্রাজকের বক্তৃতা । অধিক, এবং ফলভোগী লোকের সংখ্যা অত্যধিক বলিতে হইবে। প্রক্রিয়াবিজ্ঞান যত অধিক পরিমাণে প্রচলিত ও লোকের অভ্যস্ত হইয়া যায়, কারণবিজ্ঞানের প্রতি লোকের ততই অল্পদ্বষ্টি, অনাস্থ, ও অযত্ব হয়। ব্যবহারোপজীবী লোকের যত প্রচুরত হয়, ততই কারণতত্ত্ব-বেক্তাগণের সংখ্যা হ্রাস হইয়া যায়। সুতরাং মূল-শাস্ত্র গুলির প্রতি লোকের আর বড় আদর থাকেন। বিজ্ঞানের অতি চর্চা ও অত্যুম্নতি কালে কারণবিজ্ঞানতত্ত্ব প্রায় পুস্তকের মধ্যেই আবদ্ধ থাকিয়া যায়। ক্রমে অনাদরদোষে উক্ত পুস্তকগুলিও বিনষ্ট হয়। ভারতে বিজ্ঞান-শাস্ত্রের এই দুর্দশ ঘটিয়াছে। আজ কাল বিদ্যুদৃ-বিজ্ঞানের বিপুল চর্চ দেখিয়া মনে করিয়া থাকি, আর্য্যজাতি এ বিষয়ে অনভিজ্ঞ ছিলেন ; কিন্তু বুদ্ধিমানগণ অনুসন্ধান করিয়া দেখিয়াছেন যে, জলে, স্থলে, অন্তরীক্ষে, ধৰ্ম্ম-অর্থ-কাম-মোক্ষে, প্রত্যক্ষে, ও অপ্রত্যক্ষে আর্য্যবিদ্বদ্বর্গ সৌদামিনীর সহিত যত মাখামাখি করিয়াছিলেন, পাশ্চাত্য বিজ্ঞানে বিদ্যুতের সহিত এখনও তত ঘনিষ্ঠত হয় নাই। দশানন যে দুর্জয় শক্তিশেলে স্থমিত্ৰানন্দনকে জড়ীভূত ও ম্পন্দন-বর্জিত করিয়া রাখিয়াছিলেন, তাহ। ঐ বৈদ্যুতিকী শক্তির প্রসাদে। এখন যে সামান্য "ইলেকটিক ব্যাটারির" ম্পর্শে হস্তপদাদি অসাড় ও নিম্পদ হইয়া যায়, সেই জাতীয় শক্তিজাল-সমবায়ে ঐ শক্তিশেল বিনিৰ্ম্মিত হইত। “শক্তিশেল” এই শব্দটীর দ্বারাই ইহার প্রকৃতিগত পরিচয় পাওয়া যায়। বাণের মধ্যে বৈদ্যুতিকী শক্তির ব্যবহার করিতে এখনও পাশ্চাত্য বিজ্ঞান সামর্থ্য লাভ করেন নাই। মন্দিরের