ভারতের মুৰ্চ্ছাভঙ্গ । Rని উপর ত্রিশূল চক্রাদি ব্যবহার হইয়া থাকে, তাহাও বিদ্যুদবিজ্ঞানের বিপুল পৰ্য্যালোচনার ফল। উত্তর শিয়রে শয়ন করিতে নাই, এ রীতিটীও বিদ্যুদৃ-বিজ্ঞানতত্ত্ব পরিপাক করার পর প্রচারিত হইয়াছে। একটী অও বা একটী কচি ফলের দিকে কেহ অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া দেখাইলে, ভারতের গ্রাম্যনারী পর্য্যন্ত তাহাকে নিষেধ করিয়া থাকে। অঙ্গুলির দ্বারা নিষ্কান্ত জান্তব সতেজ তড়িৎ-শক্তি-প্রবাহে অও বা কচি ফলটা নষ্ট হইয়া যাইতে পারে, ইহা যুে দেশের আবালবুদ্ধ-বনিতা অবগত আছে, সেখানে বিজ্ঞান-শাস্ত্রের উন্নতি হয় নাই কেমন করিয়া বলিব ? মন্দিরে যেমন ত্রিশূল, চক্রাদি ব্যবহার হয়, সেইরূপ উচ্চ ছাদের উপরে লোকে তেকাটসিজ গাছ রক্ষা করিয়া থাকেন । সিজও তাড়িৎ-প্রবাহক । ত্রিশূলাদি যেমন বজ্রপাতাদি হইতে মন্দিরকে রক্ষা করে, সিজ ও সেইরূপ গুহকে রক্ষা করিয়া থাকে। আমাদের বসৰদশীয় একজন প্রসিদ্ধ বিজ্ঞানবেত্তা সিজের গুণ পরীক্ষণ কাবুরার জন্য তাহার নিকট একদিন একটা "ইলেকটিক বাটারি" রাখিয়া দিয়াছিলেন, অৰ্দ্ধ ঘন্ট। পরে দেখিলেন, ব্যাটারিতে স্থিত বিদ্যুদ-রাশি প্রায়ই সমস্ত নিষ্কাশিত হইয়। গিয়াছে। পল্লীগ্রামবাসিনী একজন পরিচারিকা পৰ্য্যন্ত এ সকল ব্যবহার জানে, কিন্তু কারণবিজ্ঞানের চর্চার বিপুল অভাবে ইহার কারণ অনেক বিদ্যাবানও অবগত নহেন। বাঙ্গালাদেশের কোন কোন বিভাগে “ শিলারি’-ব্রতের খুবল প্রচার ছিল, এবং এখনও কোন কোন স্থানে উহ! অল্পাধিক পরিমাণে প্রচলিত আছে। কৃষকগণ যখন
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/৪০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।