Da পরিব্রাজকের বক্তৃত। দেখে, তাহাদিগের ক্ষেত্ৰ শস্য-পূৰ্ণ, এবং মেঘমালা আকাশমার্গের অনতিদূর দিয়া ক্রীড়া করিয়া বেড়াইতেছে, সেই সময় শস্য রক্ষার্থ শিলারি নিয়োগ করিয়া থাকে। শিলারিকে নিরামিষভোজী রুক্ষকেশে থাকিতে ও কেশ লোমাদি রক্ষা করিতে হয়, এবং সৰ্ব্বদা একটা স্বদীর্ঘ ত্রিশূল হস্তে ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে ভ্রমণ করিতে হয় । শিলাবৃষ্টির দ্বারা শস্যের পাছে ক্ষতি হয়, এই জন্যই শিলারি-নিয়োগ । শিল৷+অরি অর্থাৎ শিলাবৃষ্টির নিবারণকারী । শিলারি যেখানেই দেখিবে মেঘ নিকট দিয়া যাইতেছে, অমনি সেইখানে মেঘ কাটিয়া যাউক, এই সংকল্পশক্তির পরিচালনা পূর্বক সেইখানে ত্রিশূল পুতিয়া দাড়াইবে, অথবা সেই স্থানে ত্ৰিশূল স্বন্ধে ধীরে ধীরে বিচরণ করিবে । অট্টালিকার শীর্ষভাগস্থ লৌহশলাকা আকাশমার্গের ও মেঘমালার যে বিকার বিনাশ করিয়া থাকে, ব্রহ্মচৰ্য্যশীল শিলারি ত্রিশূলধারী হইয়া সেই কাৰ্য্য সম্পাদন করে। “শিলারি’-পদ্ধতিও প্রাচীন বিজ্ঞান-কৌশল হইতে প্রচারিত হইয়াছিল । এই বিজ্ঞান-শাস্ত্রের বিশেষ উন্নতি হইয়াছিল বলিয়াই সন্ধ্যাহিক কালে পট্টবস্ত্র পরিধান, রোমশাসনে উপবেশন, জল, ও তাম্রপাত্রাদির ব্যবহার প্রচলিত হইয়াছে। এই বিজ্ঞানের প্রভাবেই কোন তিথিতে কোন দ্রব্য খাইতে হয়, ও না খাইতে হয়, কোন কোন তিথিতে উপবাস করিতে হয়, স্ত্রীজাতি ও পুরুষজাতির ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের আহারাচ্ছাদন কি, ইহা নিরূপিত হইয়াছে। সধবাকে কেন মণিমুক্ত-খচিত স্বর্ণালঙ্কারাদিতে বিভূষিত থাকিতে হয়, কেন বিধবাকে ব্ৰহ্ম
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/৪১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।