পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ヘ○a পরিব্রাজকের বক্তৃত। ম্রোতের মুখে যদি অনুকুল বাতাস পায়, তবে নৌকা যেমন শীগ্রগতি লক্ষ্য স্থানে গিয়া পৌঁছে, তেমন অন্য কোন কৌশলে নৌযাত্র স্বগম নহে। আর্য্যজাতির হৃদয় একে ভারতীয় স্বভাবজাত ধৰ্ম্ম-প্রবণ প্রকৃতি দ্বারা গঠিত, তাহাতে তপঃ-সিদ্ধ-বুদ্ধি মহামনা মহামুনি মহর্ষিগণের সিদ্ধবাণীর উপদেশে পরিচালিত । সহজেই সমাজের গতি মানব-দেহ-ধারণের গৃঢ় লক্ষ্য স্থানে পেছিবার সম্পূর্ণ অনুকূল হইয়াছিল। ব্রহ্মচৰ্য্যাদি আশ্রম চতুষ্টয় এবং ব্রাহ্মণাদি বর্ণ চতুষ্টয়ের বিধিবদ্ধ ব্যবস্থা অনুসারে দীক্ষিত, শিক্ষিত, ও পরিচালিত হইয়া, ভারতীয় সমাজ ধীরে ধীরে অস্বলিত পদে উন্নতির চূড়ান্ত সীমায় উপস্থিত হইয়াছিল। যে প্রণালীতে শিক্ষিত হইলে, যে প্রণালীতে কার্য্যক্ষেত্রে বিচরণ করিলে, মানবগণ প্ররত মনুষ্যত্ব লাভ করিতে পারে, অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা পুৰ্ব্বক ইহপরলোকের কল্যাণ-মার্গ বিশেষরূপ বিচার পুরঃসর জাৰ্য্য মহর্ষিগণ তাহা পরিপাটীরূপে বিধিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন। বিদ্যাবান ও ধৰ্ম্মাতা। সাধু সন্ন্যাসীদিগকে, গভীর-তত্ত্ব-চিন্তাপরায়ণ মহাপুরুষদিগকে, জগতের কল্যাণকারী ব্রাহ্মণদিগকে রক্ষা করিবার ভার বিজয়-চিহ্নধারী রাজন্যবর্গ, ধনাধিকারী বৈশ্যবর্গ, এবং সেবাচারী শূদ্রবর্গ উৎসাহ-পূর্ণ হৃদয়ে গ্রহণ করিয়াছিলেন। তাই নিশ্চিন্ত চিত্তে মহাপুরুষগণ জগতের হিতের জন্য অনেক গুরুতর কার্য্য সাঞ্চন”ৰ্করিতে পারিয়াছিলেন । দীনদরিদ্রকে দান করিয়া, অতিথি অভ্যাগতের সেবা করিয়া, গুরু ব্রাহ্মণের শুশ্রুষা করিয়া, শাস্ত্রীয় আদেশ প্রতিপালন করিয়া, রাজার আজ্ঞা শিরোধাৰ্য্য করিয়া,