ভারতের মুৰ্চ্ছাভঙ্গ । .85 হইতেছে, আর্য্যদিগের পরমোপাস্য পরম দেবতার সুচারু চরণ-চুম্বনে যাহাদিগের প্রবৃত্তি জন্মিয়াছে, তাহাদিগের প্রস্থপ্ত তেজঃ, স্তম্ভিত শক্তি পুনর্জাগ্রত ও প্রবল হইতে অধিক বিলম্ব নাই। তাহাদিগের তপস্তেজঃ-বৰ্দ্ধিত মহা গর্জন শ্রবণ মাত্রেই ইহাদিগকে এ স্থান হইতে পলায়ন করিতে হইবে । ভারতহিতচিকীযু মহাত্মাগণ ! সুশিক্ষিত সভ্য মহোদয়গণ ! ভগবানের রূপার বাতাস বহিয়াছে, শীঘ্রই বিজাতীয় ঘোর মেঘ কাটিয়া যাইবে ; ভারতের, মলিন আকাশে আবার সুৰ্য্যের প্রখর কর-জাল বিস্তার হইয়া পড়িবে। এক সময়ে ভারতবর্ষ সভ্যতা, শিক্ষা, ও সমুন্নতির উচ্চ রত্নসিংহাসনে বসিয়া সমস্ত পৃথিবীর উপর ঐকাধিপত্য করিয়াছিল । তখন সকল জাতির মস্তক ভারতের চারু চরণতলে অবনত হইয়াছিল। তখন ভারতের পদরেণু পরিলেহন করিয়া জগদ্বাসী রুতার্থ হইয়াছিল ; ভারতের সহিত যাহার কিঞ্চিম্মাত্র সংশ্ৰব থাকিত, সেও পুণ্যপুত বলিয়া আপনাকে কুতরুত্য মনে করিত। তখন ভারতের কোন বিষয়েই প্রতিযোগিতা করিবার উপযুক্ত দেশ বিদ্যমান ছিল না। কিন্তু চিরদিন তো কাহারও সমান যায় না। তবে ভারতের সে শুভ দিনই বা চিরদিন থাকিবে কেন ? তখন ভারতের কথা শুনিয়া লোকে পুণ্যোপার্জন করিত ; এখন সেই ভারতেম-গায় অবিশ্বাস ও সংশয় জন্মিয়াছে। ভারতে অনেক দার্শনিক জন্মগ্রহণ করিয়া পরম্পর তর্ক বিতর্কে অনেক নিগুঢ় কথার আলোচনা করিয়াছেন ; তাহাদের ভিন্ন ভিন্ন মতের বিরোধ-শাস্তির জন্য সকলেই শ্রুতিকে মধ্যস্থ মানিয়া
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/৫২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।