পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8. পরিব্রাজকের বক্তৃত। ছিলেন। অধ্যাক্স বিদ্যার আকর-ভূমি শ্রুতিকে এক্ষণে লোকে লৌকিক যুক্তি-যন্ত্রে নিষ্পেষিত করিয়া অপ্রামাণিক বোধে উপেক্ষা করিতেছে । মানব-মন-নিহিত গুপ্ত ও প্রস্থপ্ত শক্তি-রাশি অজ্ঞানত ও অসাধনার আবর্জনায় ঢাকিয়া পড়িয়াছে। বাহ্য জগতের মোহন ভাব লোক-চিত্ত আকর্ষণ করিয়াছে। ভারতের প্রাচীন কথা এখন উপকথা মধ্যে পরিগণিত হইতেছে। যে দিন ভারত জগদগুরু হইয়। ঐকাধিপত্য করিতেছিল, সে দিন বিগত হইয়াছে। যে দিন ভারত বৃদ্ধ পিতামহের ন্যায় শিশুবর্গকে পাশ্বের্ণ বসাইয়া রাখিতেন, স্নেহ-ভরে সকলকে খাওয়াইয়া পরাইয়া শিক্ষা সভ্যতায় সাজাইয়। মানুষ করিতেন, সে দিন এক্ষণে অতীতকালগর্ভে লুক্কায়িত হইয়াছে। এখন শিশুগণ সবল ও প্রবল হইয়া, নিজ নিজ ভাবে উন্মত্ত হইয়া, বৃদ্ধ পিতামহকে পদাহত, পদচ্যুত করিবার জন্য, নানাবিধ প্রহরণ সহিত সন্মুখ-সমরে উপস্থিত হইয়াছে। এই উনবিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীর সকল জাতিই ভারতে আসিয়া নিজ নিজ পরিচয় প্রদানের উপযুক্ত অবসর পাইয়াছে। সকল দেশের আচার ব্যবহার, সকল দেশের রীতি নীতি, সকল দেশের আহার আচ্ছাদন, সকল দেশের ভাষা ও ভাব, সকল দেশের ধৰ্ম্ম ও কৰ্ম্ম, সকল দেশের শাস্ত্র ও শস্ত্র, নিজ নিজ উজ্জ্বলতা ও প্রতিভা সহিত ভারতীয় কাৰ্য্য-ভূমিতে আসিয়া দণ্ডায়মান হইয়াছে - বৃক্ষ ভারতকে উপেক্ষ ও উপহাসের টিটুকারীতে ক্ষিপ্তপ্রায় করিয়৷ তুলিয়াছে। যাহার যে অস্ত্র আছে, যাহার যে বল ব। পরাক্রম আছে, যাহার যে কুহক বা কৌশল আছে,