39 পরিত্রাজকের বক্তৃত। আক্ষেপের দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলিয়া সঙ্কেতে গাওঁীব-ধনুধর্ণরী বীরকেশরী অর্জনের দিকে কটাক্ষপাত করিলেন। কৃষ্ণ-সখ। কুস্তিনন্দন মহাবীর ভীষ্মের মনের ভাব বুঝিতে পারিয়া তুণ হইতে বাণ গ্রহণ করিলেন, এবং মহাশরাসন গাওঁীবের সহায়তায় সেই বাণের তীব্র বেগে ধরিত্রী-গর্ত ভেদ করিয়া গঙ্গার নিৰ্ম্মল নীর-ধারা ভীষ্মের মুখ-বিবরে প্রবাহিত করিলেন। কুরুবৃদ্ধপিতামহ জলপানে কৃতকৃত্য হইলেন ও অর্জুনকে আশীৰ্ব্বাদ করিলেন। আজ মুমুলু ভারতকে ধরাশয্যায় পতিত, পরপদ-বিদলিত, মূচ্ছিত, ও অভিভূত দেখিয়া কত অবোধ ভারত-সন্তান, দুর্য্যোধনের ন্যায়, দুব্যবহারে প্রবৃত্ত হইয়াছে ; কত কুল-কুঠার হয়তে বলিতেছে, ভারতের শক্তি সামর্থ্য তিরোহিত হইয়াছে, ভারতের স্বতন্ত্র সত্ত। নিৰ্ম্মল হইয়াছে, ভারতের জীবন চিরদিনের জন্য অপগত হইয়াছে, ইহার মায়ামমতা জন্মের মত বিসর্জন দাও ; কেহ বা ভারতের এই মহামুচ্ছৰ্ণ ভাঙ্গিবার জন্য, কুকর শৃগালের স্থায়, তাহার পবিত্র অঙ্গ দংশন করিতেছে । আহে । ভারভকুলসস্তুত শিক্ষিত সভ্য মহোদয়গণ বর্তমান ভারতে, কৃষ্ণ-সখ। অৰ্জুনের ন্যায়, হৃদয়ের বলে বলীয়ান, ধৰ্ম্মার্থ-জ্ঞানে গরীয়ান, কেহ কি পিপাসু বৃদ্ধ ভারতকে নিৰ্ম্মল জল-দানের জন্য অগ্রসর হইবেন না ? এক্ষণে এমন কি কেহ নাই, যিনি পার্থিব স্তর ভেদ করিয়া, অবিদা মহামায়ার বিজ্ঞান-স্তর ভেদ-করিয়া, ব্রহ্মার কমওলু–ব্রহ্মার চত্ববেদ হইতে যে নিৰ্ম্মল ধারা প্রবাহিত হইয়। কপিল-শাপে ভস্মীভূত ষষ্টিসহস্র সগরসন্তানকে উদ্ধার করিয়াছিল, সেই বৈদিকী ভাগীরথীর মহা
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/৫৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।