8b- পরিব্রাজকের বক্তৃতা। হইল, হস্ত পদাদি কঁাপিতে কঁাপিতে স্পন্দহীন হইয়া আসিল, বাহিরের শ্বাসের ক্রিয়া যেন রুদ্ধ হইয়া গেল, আর আসনে থাকিতে পারিলাম না, ভূমিতে পড়িয়া গেলাম। ভিতরে চৈতন্য ছিল, সকলে যাহা বলিতে ছিলেন, যাহা পরামর্শ করিতেছিলেন, আমি সমস্তই শুনিতে পাইতেছিলাম। কিন্তু আমি যে মরি নাই, এই কথা সকলকে বলিবার জন্য কতবার চেষ্টা করিলাম, কিন্তু বলিবার সামর্থ্য হইল না। ভিতরে ভিতরে ভাবিতে লাগিলাম যে, আমার বাহিরের অবস্থা দেখিয়া আমাকে সকলেই তো মৃত বলিয়া স্থির করিয়াছেন। কিন্তু আমি যে জীবিত আছি, একথ। ইহাদিগকে বুঝাইয়। দেয় কে ? আমার মৃত্যু হয় নাই, আমার মুচ্ছৰ্ণ হইয়াছে ; মুচ্ছ ভাঙ্গিলেই যে আমি বাচিব, একথা কাহাকেও বলিতে পারিতেছিলাম না। পরিশেষে ভগবৎ-কৃপায় জনৈক স্থবিজ্ঞ মহোদয়ের প্রস্তাব অনুসারে তুমি নিকটে আনীত হইলে, এবং স্বভাবসিদ্ধ আত্মীয়তা-সুলভ মনোবেদনার আবেগে তুমি যে চীৎকার করিয়া কান্দিয়া উঠিলে,সেই শব্দবলেই আমার শরীরের স্তত্তিত শক্তি-রাশি অকস্মাৎ কম্পিত ও জাগ্রত হইয়। উঠিল, আমার চেতন। সঞ্চারিত হইল । আজ তোমার চিরকল্যাণের জন্য ভগবানের নিকট আশীৰ্ব্বাদ প্রার্থনা করিতেছি । সভ্য মহোদয়গণ । বর্তমান ভারতও প্রোক্ত ধৰ্ম্মাচার্ধোর ন্যায় মহামুচ্ছৰ্গয় নিম্পন্দ ও হতচেতন হইয়। পড়িয়াছে। জগদগুরুর আসনে বসিয়া ভারতবর্ষ সকল জীবের হিত সাধন করিতেছিল, কি জানি, কোথাকার কি কুবাতাস গায়ে লাগিল, ভারতবর্ষ উচ্চ রত্নবেদি হইতে
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/৫৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।