(ζ ο 'পরিব্রাজকের বক্তৃতা। আবার মৃদু মধুর তানে ভারতে শান্তির সামগান গীত হইবে। উপসংহারে বলিতেছি ঃ– “পুনর্শ্বন: পুনরায়ুম আগন পুনঃ প্রাণঃ পুনরাত্মা, মা আগন পুনশ্চক্ষুঃ পুনঃ শ্রোত্ৰম্ মা আগন্ ৷” যে মন সমস্ত কলুষিত চিন্ত পরিত্যাগ করিয়া ত্ৰিজগতের হিতকামনা পূর্বক ভগবচ্চরণামৃত পানে মত্ত হইয়া থাকিত, আমরা সেই মন হারাইয়াছি, আমাদিগের সেই মন প্রত্যাবৃত্ত হউক ; যে পরমায়ু পাইয়। আমরা পাশব প্রকৃতি পরিত্যাগ পূর্বক মানব জীবনের সার্থকতা সাধন করিতাম, আমাদিগের সেই আয়ু পুনরাবৃত্ত হউক ; আমরা যে বল পাইয়া বাহা শক্তির প্রবল বল অতিক্রম পুৰ্ব্বক সকল শক্তির চূড়ান্ত সীমায় উপস্থিত হইতে পারিতাম, আমরা সেই বল হারাইয়াছি, সেই বল আমাদিগের নিকট প্রত্যাবৃত্ত হউক ; যে আত্মা, যে সমৃদ্ধি পাইয়া, আমরা বিষয়-সুখ তুচ্ছ বোধ করিয়া, পরমাত্মার শুদ্ধসত্তা-নিৰ্ম্মল-রাজ্য উপভোগ করিতাম, যে আত্মা বিশুদ্ধ চৈতন্যের পূর্ণ বিকাশে স্বচ্ছ, তাহ আমাদিগের নিকট পুনৰ্ব্বার ফিরিয়া আস্থক ; আমাদিগের যে চক্ষুঃ জড় জগতের বাহ্য শোভাকে তুচ্ছাতিতুচ্ছ ও অসদ্ধোধে চক্ষু-স্বরূপ ভগচ্চরণারধিন্দ-দর্শনে কৃতকৃত্য হুইত, আমাদের যে কৰ্ণ মঙ্গলময়ের মঙ্গল গান শুনিয়া, বিষয়-বিষ-বহ্নিনিৰ্ব্বাণকারী, দুঃখ-সন্তাপহারী, হরিগুণ-লহরী শুনিয়া, আনন্দিত হইত, সেই চক্ষুঃ, সেই কৰ্ণ, আমাদিগের নষ্ট হইয়াছে, তাহা আমরা পুনঃ প্রাপ্ত হই ; তাহ হইলেই, সভ্য মহোদয়: গণ । জানিবেন, হত-চেতন ভারতের জীবনী শক্তির পুন:
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/৬১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।