পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(to পরিব্রাজকের বক্তৃত। বেশে সভায় গমন, “সেই আর এই” রাজার সঙ্কেত-বাণী আদির পরিচয় দিলেন এবং ধন পাওয়া গেল না বলিয়। দুঃখ প্রকাশ করিলেন । ব্রাহ্মণী বলিলেন, রাজার কথার উত্তর দিতে পারিয়াছিলে ? ব্রাহ্মণ বলিলেন, আমি রাজার সঙ্কেত কিছুই বুঝিতে পারি নাই, উত্তর দিব কি ? ব্রাহ্মণী বলিলেন, রাজা ধন দিন, বা নাই দিন, রাজাকে কথার উত্তর দেওয়া চাই। তুমি কাল পুনৰ্ব্বার সভায় গমন করিও । মহারাজ সিংহাসনে বসিলে তাহাকে আশীৰ্ব্বাদ করিয়া বলিও যে, মহারাজ ! একটা জলপুর্ণ জলপাত্র আর এক খণ্ড ক্ষুদ্র শিল আনিতে কাহাকেও আদেশ করুন। এতাবৎ আনীত হইলে ঐ শিলাখগুটী মহারাজকে স্বহস্তে জলে ফেলিতে অনুরোধ করিবে । শিলাট জলে নিক্ষিপ্ত ও নিমগ্ন হইয়া গেলে তুমি বলিবে, মহারাজ ! “এই আর সেই!” ইহাতেই মহারাজের সঙ্কেতবাণীর সাঙ্কেতিক উত্তর হইবে। ব্রাহ্মণ বুদ্ধিমতী স্ত্রীর কথানুসারে সভাস্থ হইয়া, স্ত্রীর পরামর্শানুসারে মহারাজকে জল ও শিলা আনাইতে বলিলেন, এবং জলে শিলা ডুবিয়া গেলে ব্রাহ্মণ বলিলেন, মহারাজ ! “এই আর সেই" ! মহারাজ ব্রাহ্মণের মুখে এই কথা শুনিয়া অতিশয় সন্তুষ্ট হইলেন এবং তাহাকে অতিশয় বুদ্ধিমান ও পণ্ডিত জানিয়া তাহাকে সভাপণ্ডিত-শ্রেণীভুক্ত করিলেন এবং দৈনিক দুই টাক বৃত্তির ব্যবস্থা করিয়া দিলেন। ব্রাহ্মণীর বুদ্ধিতে ব্রাহ্মণের কপাল ফিরিয়া গেল। কিন্তু সভাস্থ পণ্ডিত ও অমাতাবর্গের মধ্যে কেহই এই সাঙ্কেতিক বাঙ বিনিময়ের মৰ্ম্ম বুঝিতে পারিলেন না। ইহার গুহ্য মৰ্ম্ম বুঝিয়াছিলেন