পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতে ধৰ্ম্ম-প্রচার। (ሎ« ব্রাহ্মণী, আর বুঝিলেন মহারাজ। অকস্মাৎ একজন দরিদ্র ব্রাহ্মণের কপাল ফিরিতে দেখিয়া পণ্ডিতগণ পরম্পর মুখ তাকাতাকি করিতে লাগিলেন, এবং সকলে রাজাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, মহারাজ ! কোন গুণে এই সামান্য ব্রাহ্মণ এরূপ পুরস্কৃত হইল ? মহারাজ বলিলেন, ইহঁার পাণ্ডিত্য ও বুদ্ধিমত্তা অতি অন্তত ও প্রশংসনীয়। আমি উইকে কল্য বলিয়াছিলাম, “সেই আর এই!” তদুত্তরে উনি আজ যথাযথ উত্তর দিয়াছেন, “এই আর সেই !” পণ্ডিতগণ বলিলেন এ দুটীর একটী কথারও মৰ্ম্ম আমরা কিছুই বুঝিতে পারিলাম না। মহারাজ বলিলেন যে, এই জন্যই বলিতেছি উনি অতি পণ্ডিত ও বুদ্ধিমান। আপনাদিগের কাহারও বুদ্ধিতে যাহা আসিল না, তাহা উনি বুঝিয়াছেন। ব্রাহ্মণীর বুদ্ধিতে বুদ্ধিমান পণ্ডিতজী ও অবাক হইয়া দাড়াইয়া থাকিলেন ; বস্তুতঃ তিনিও কিছু বুঝেন নাই। পণ্ডিত-মওলী জি জ্ঞাসা করিলেন, মহারাজ ! এই প্রহেলিকণর মৰ্ম্ম আমাদিগকে বুঝাইয়। দিন । তাহাতে মহারাজ বলিলেন যে, আমি গত কল্য ব্রাহ্মণকে অত্যন্ত্র জলে পতিত জানিয়া ও সিক্তবস্ত্রে সমাগত দেখিয়া বলিয়াছিলাম, “সেই আর এই !” অর্থাৎ, হে ব্ৰাহ্মণ । যে ব্রাহ্মণ-কুলে অগস্ত্য ঋষি জন্মগ্রহণ করিয়া একমাত্র গও ষে সপ্তসমুদ্র শোষণ করিয়াছিলেন, আপনি সেই ব্রাহ্মণ-কুলে জন্মগ্রহণ করিয়া এরূপ হীনবীৰ্য্য ও নিস্তেজ হুইয়। পড়িয়াছেন যে, সামান্য জলে লুটাপুটী খাইতে হইল ! তাহাতে পণ্ডিত মহাত্মা আমার হন্ত-নিক্ষিপ্ত শিলাকে জলে নিমগ্ন হইতে দেখিয়া বলিলেন, “এই আর