৬২ পরিব্রাজকের বক্তৃতা। করিবার কিছুই নাই বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। ভারতবর্ষ রাজ্য-শাসন-স্বাধীনতার আশায় তো জলাঞ্জলি দিয়া বসিয়াছে। সাহস নাই, বীরত্ব নাই, পরস্পর একতা নাই ; অগত্য কিছু দিন মুসলমানগণের কঠোর শাসনে নিপীড়িত হইয়। আপাততঃ-অপেক্ষাকৃত সৌভাগ্যক্রমে আমরা ইংরাজ জাতির স্বশাসনে দিন যাপন করিতেছি । ভারতীয় আৰ্য্যগণের নিকট প্রাপ্ত ‘ধৰ্ম্ম-ধন” ভিন্ন আর আমরা কিছুই স্বেচ্ছাক্রমে ভোগ করিতে পাইতেছি না। তাহাও আবার বৌদ্ধগণের প্রভাবে অতিশয় ছিন্ন ভিন্ন হইয়া গিয়াছিল । পূজ্যপাদ মহাত্মা শ্ৰীমচ্ছঙ্করচার্য্যের বিপুল তেজঃ ও তপোবলে শাস্ত্রার্থ-পূর্ণ জ্বলন্ত যুক্তি-যোগ-জালে উহা পুনরুদ্ধত হয়। মুসলমান রাজত্বের খরশান-কৃপাণ-তাড়নায় অনেক সামাজিক রীতিনীতি বিশৃঙ্খলাযুক্ত হইয়া গিয়াছিল, তৎপরে খৃষ্টীয় ধৰ্ম্ম-যাজকগণ ও কদৰ্থ-ব্যাখ্যায় কিয়ৎ পরিমাণে অাৰ্য্য ধৰ্ম্মকে প্রভা-হীন করিয়া তুলিয়াছেন । মৃত মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় বৈদাস্তিক ও অন্যান্য শাস্ত্রোক্ত জ্ঞান-কাওঁীয় প্রণালী সাধারণ-সমীপে প্রচার দ্বারা যেরূপ সমাজ ও ধৰ্ম্মসংস্কার এবং ভারতের উন্নতির আশা করিয়াছিলেন, তাহাতে সুফল ফলিল না। ব্রাহ্মমণ্ডলী সনাতন-ধৰ্ম্মীগণের আচার ব্যবহারের প্রতি হস্তক্ষেপ পুৰ্ব্বক সমাজকে কেবল ক্রমশঃ বিকৃত ও অপর একটী নুতন সম্প্রদায় গঠন করিয়া তুলিতেছেন। এইরূপে আর্য্যজাতির একমাত্র গৌরব-চিহ্ন ধৰ্ম্ম-ভাবটী দিন দিন মলিন ভাব ধারণ করায়, ইহার পূর্বতন প্রাকৃতিক প্রভ হীন হইতেছে। ইসলাম ধর্শের প্রচার জন্য
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/৭৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।