তারতে ধৰ্ম্ম-প্রচার । Հ(t হইয় তাহাকে আনন্দ-রাজ্যের অধিকারী করিয়াছে, তিনি তাহাকেই এক মাত্র পথ মনে করিয়া সাধারণ্যে প্রচার করিলে চলিবে কেন ? অন্য সাধক অন্য উপায়ে সেই ভাব পাইতে পারেন, এবং কত শত মহাত্মা তাহ পাইয়াও জগতের এক এক অংশকে মাতাইয়া গিয়াছেন ; ইহা জগতের পুরাবৃত্ত-পাঠে বিদিত হওয়া যায়। সাধক ও পণ্ডিত, এই দুই উচ্চ শ্রেণীর লোক ধৰ্ম্ম-প্রচারের ভার গ্রহণ করিয়া স্ব স্ব প্রকৃতি অনুসারে জনসাধারণকে নানাদিকে অাকর্ষণ করিতে থাকেন । সাধকগণ ভগব-রাজ্যে বিচরণ করিয়t ভক্তকে ধৰ্ম্ম-ভাব-সাগরের শাস্তি-নীরে মগ্ন হইতে উপদেশ দেন; পণ্ডিতগণ বিদ্যা, বুদ্ধি, যুক্তি প্রভৃতি দ্বারা অগণ্য-শাস্ত্রসাগরে ধৰ্ম্ম-মত-তরঙ্গে সকলকে ভাসাইতে থাকেন । ধৰ্ম্ম“মত” লইয়া যত গোলযোগ, তর্ক বিতর্ক, বিবাদ বিসম্বাদ *হয়, ধৰ্ম্ম-“ভাব” লইয়া সাধকগণের মধ্যে সেরূপ বড় দেখিতে পাওয়া যায় না। স্থবোধ সভ্য মহোদয়গণ ! ধৰ্ম্ম."মত"-প্রচারপ্রিয় পণ্ডিতগণকে তিন শ্রেণীতে বিভাগ কর। যাইতে পারে ; প্রথম, যাহারা কেবল স্বশাণিত তর্কাস্ত্রে অন্যের মতকে খণ্ডন করিয়া থাকেন, অথচ তৎপরিবর্তে কোন অমৃতময় মত দিতে পারেন না ; দ্বিতীয়, যাহার। অন্যের কলুষিত মতকে (তাহীদের মতানুসারে ) খওন করিয়া তৎপরিবর্তে নিজ মত স্থাপন করিয়া তাহাকে অগপনাদিগের অমুগত করিয়া থাকেন; তৃতীয়, যাহারা অন্যের মতাদি-খওনে ব্যস্ত না হন, অথচ আপনাদিগের কোমল ধৰ্ম্মভাব সকল সৰ্ব্ব সাধারণকে অবলম্বন করাইয়। পরমানন্দ
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/৮৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।