ԳԵ- পরিব্রাজকের বক্তৃত। এক্ষণে সকলেই ইউরোপীয় বিদ্যা, বিজ্ঞান, চিন্তাশীলতাপ্রভাবে কিয়ৎ পরিমাণে স্বাধীন-ভাব-পরতন্ত্র, কেহ কাহারও অধীন হইতে চাহেন না, সুতরাং নিৰ্ব্বিরোধী তৃতীয় শ্রেণীর অবলম্বিত প্রণালী তাহাদের হৃদয়ে আদৌ কোন আঘাত মাত্র করিবে না। আবার কোথাও কোথাও শাস্ত ও ধীর ভাবে মলিন মত খওনপূর্বক সাধু মত প্রচার করিতে হইবে। অনেকে বলিয়া থাকেন যে, অগ্ৰে কাম, ক্রোধ, লোভাদিকে দমন কর, তবে ধৰ্ম্মের আলোচনা করিও ; কিন্তু আমাদের বোধ হয় যে, ধৰ্ম্মের আলোচনা ও কার্য্য করিতে করিতে, কাম ক্রোধাদির দৌরাত্ম্য আপনিই নিবৃত্ত হইবে । অন্ধকার চলিয়। যাউক তবে সূর্য্যোদয় হইবে, এ সিদ্ধান্ত সারবান নহে; সুর্য্যোদয় হইলে অন্ধকার আপনিই অপস্থত হইয়। যাইবে। শান্তি-রক্ষক আসিলেই চেীর পলায়নপর হইবে। জথমে ভ্রান্তি-শাস্তি করিয়া পরে জ্ঞান প্রচারিত হইবে, ইহ কখনই হইতে পারে না । জ্ঞান-প্রচার প্রথমেই প্রয়োজন ; কেন না, ভ্রাত্তির শাস্তি করিতে গেলেই জ্ঞানের সহায়ত চাহিতে হইবে। তাই বলি, নিৰ্ব্বিরোধে মানবের মিৰ্ম্মল- . প্রকৃতি-নিহিত ধৰ্ম্মভাব-কুস্কমের সৌরভে ভারতকে মত করিতে পারিলে বর্তমান কালে যথেষ্ট উপকার হইবে ; আবার জ্ঞান-সুৰ্য্যের আলোক যাহাতে ঘরে প্রবেশ করিতে পারে, উপদেশের যোগে বুদ্ধির দ্বার উদঘাটিত করিয়া দিতে হইবে। ভারতে কিরূপে ধৰ্ম্ম-প্রচার করিতে হইবে, তাহ যদিও আমরা বিশেষরূপ স্থির করিতে সম্পূর্ণ পারগ নহি, তথাচ
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/৮৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।