ভারতে ধৰ্ম্ম-প্রচার । ԳՏ আমাদের সামান্য বুদ্ধিতে এইরূপ বোধ হয় যে, কতিপয় সাম্প্রদায়িক পদ্ধতি মত ভাব-প্রচার যথার্থ “ধৰ্ম্ম-প্রচার” নহে। সমস্ত জাতির প্রকৃতি-পরিবর্তনের জন্য ধৰ্ম্ম একমাত্র সহায়। ধৰ্ম্মের যেরূপ প্রচার সেই মহোচ্চ লক্ষ্য সাধনে সমর্থ হইবে, আমরা তাহাকেই ধৰ্ম্মের প্রকৃত প্রচার বলিব। কিরূপে ভারতবর্ষীয় ধৰ্ম্মরাজ্য পুনৰ্জ্জীবিত হইবে, কি উপায়ে ভারতীয় আর্য্যধৰ্ম্ম পুনঃ প্রচারিত হইয়া ভারতবর্ষকে ভগবদ্ভাবে উন্মত্ত করিবে, ইহা ভারতের কল্যাণেচ্ছ, মাত্রেরই চিন্তা করা কর্তব্য । ধৰ্ম্মের বাহ লক্ষণ ভারতবর্ষকে ভুলাইতে পারিবে না । কেবল বক্তৃতা, ঈশ্বরলাভেচ্ছাশূন্য শাস্ত্রপাঠ, কতকগুলি সাম্প্রদায়িক বাহনুষ্ঠান দ্বারা ভারতীয় ধৰ্ম্ম পুনৰ্জ্জীবিত হইবে না। স্পন্দরহিত হিম-কলেবর মুঘুঘু রোগীকে কতকগুলি মণিমুক্ত জড়িত স্বর্ণভরণ দ্বারা সজ্জিত করিলে তাহার যেমনঃ প্রীতিকর হয় না, তদ্রুপ মলিন মুমুঘু ভারতবর্ষকে কতিপয় সাম্প্রদায়িক ভাবালঙ্কারে সজ্জিত করিলে কিছুই হইবে না । যেরূপ ধৰ্ম্ম-প্রচারে ভারতবর্ষের আদ্যকার নিস্তেজ হৃদয়ে তেজঃ-সঞ্চার করিতে, নিদ্রিত ভারতবর্ষকে জাগ্ৰত করিতে, শতধা-বিভক্ত ভারতবর্ষকে প্রণয় ও দেশহিতৈষণার নামে এক করিতে পারিবে ; যেরূপ ধৰ্ম্ম-প্রচারে ভারতবর্ষীয়দিগের অন্তঃকরণে দেবব্রতের দৃঢ় প্রতিজ্ঞতা, যুধিষ্ঠিরের সহিষ্ণুতা ও সত্যানুরাগ, লক্ষণের ভ্রাতৃভাব ও জিতেন্দ্রিয়তা, বশিষ্ঠের সৌম্যতা, শান্ত স্বভাব ও ক্ষমা, ভীষ্মের শৌর্য্য, গাম্ভীৰ্য্য, বীৰ্য্য, ও বিজ্ঞতা, পুরাতন তাপস
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/৯০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।