b-8, পরিব্রাজকের বক্তৃতা। সুচনা করিতে নাই। যাহার। তপঃস্বাধ্যায় দ্বারা বুদ্ধির পরিপাক-দশায় উপস্থিত হইয়াছেন, তাহারাই উপদেশ-দানের সুযোগ্য পাত্র। এই জন্য আৰ্ষবাক্যই প্রকৃত সদুপদেশ বলিয়। আর্য্যগণ স্বীকার করিয়া গিয়াছেন । ধৰ্ম্মজ্ঞানের অপরিণত অবস্থায় র্যাহার উপদেশ করেন, তাহাদিগকে নিজেই পশ্চাত্তাপ করিতে হয়, ও তাহার শিষ্যবৰ্গকেও বৃথা কুপথ-গমনে ক্লেশ পাইতে হয়। এই স্থানে আমার একটী গল্প মনে পড়িল-- পল্লীগ্রামের একটা পাঠশালায় গুরুমহাশয় বেত্ৰহস্তে পড়য়া (পাঠার্থী) দিগকে হস্তলিপির শিক্ষা দিবার সময় সর্দার পোড়োকে অন্যান্য বালকগণের "শিক্ষার্থ গম্ভীর স্বরে আজ্ঞা করিলেন, “ ডেকে ডেকে নাম লেখ — ঐসনাতন বিশ্বাস " । কালদওধারী যমের ন্যায় বেত্ৰধারী গুরুমহাশয়ের হাক ডাক শুনিয়া সর্দার পোড়ে ভীতচিত্তে গুরুমহাশয় কি নাম লিখিতে বলিলেন, তাহাতে প্রণিধান করিতে না পারিয়াই অন্যান্য বালকের দিকে লক্ষ্য করিয়া সুদীর্ঘ টান। স্বরে বলিয়া উঠিল, “দাড়ী দিয়ে ছিরি (স্ত্র) ফ—দে ; খুশীরাম'—খয়ে হস্ব উ” । সর্দার পোড়ো “সনাতন বিশ্বাস" নামটী ভুলিয়াই হউক, বা গুরুমহাশয়ের কথা ন। শুনিয়াই হউক, আন্দাজী “খুশীরাম” লিখিতে ও লিখাইতে বসিল দেখিয়া গুরুমহাশয় ক্রোধান্ধ হইয়া সর্দার পোড়োকে এক বেত্ৰাঘাত করিলেন। সর্দার পোড়ো বুঝিল যে, গুরুমহাশয় যাহা বলিয়াছেন, তাহ হইল না, অমনি সে মুখ বিকৃত করিয়া ( চক্ষে টস্ টস্ করিয়া জল পড়িতেছে ;
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/৯৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।