ভারতে ধৰ্ম্ম-প্রচার । Ե-Գ পুত করিতেন, তৎপরে লোকোপদেশার্থ প্রবৃত্ত হইতেন, এবং ধৰ্ম্ম-প্রচার করিবার সময় দেশ, কাল, পাত্র বুঝিয়া কাৰ্য্য করিতেন। এক জন অতিশয় বুদ্ধিমানের ধৰ্ম্মভাব কখনও এক জন মহামূঢ়ের হৃদয়ে স্থান পায় না, এজন্য প্রত্যেকের প্রকৃতি অনুসারে ‘ধৰ্ম্মাচারও বিহিত হইয়াছে। আতি অল্পজ্ঞ ও অতি বিজ্ঞ উভয়েরই ধৰ্ম্মভাবের আদর্শ ও লক্ষ্য এক বটে, কিন্তু অধিকার ভেদে তাহদের সাধনপ্রণালী ভিন্ন ভিন্ন হওয়া স্বাভাবিক। আর্য্যগণ চিন্তাশীল, শাস্ত্ৰজ্ঞ, তপঃশুদ্ধবুদ্ধি, প্রশস্তচেতাগণের জন্য জ্ঞানকাও, ও সাধারণ বিষয়ীবর্গের নিমিত্ত কৰ্ম্মকাও ব্যবস্থা করিয়াছেন । ধ্যানসঙ্গাধিশীল সুক্ষম-চেতার পক্ষে কৰ্ম্মকাও যেমন আদরণীয় নহে, আবার দেহাত্মবাদী মূঢ়গণের পক্ষে সুক্ষম জ্ঞান-পথ তেমনি দুর্গম, অরুচিকর ও নীরস ; স্বতরাং একের ভাব অন্যতরের হৃদয়কে কখনই সম্পূর্ণরূপে অধিকার করিতে পারে না । মনুষ্যের মনঃ-প্রকৃতি, সমাজের প্রচলিত প্রথা, সময়ের গতি প্রভূতির প্রতি কিছুমাত্র দৃষ্টি না রাখিয়া, কবির কল্পনা-বিবৃত্তিত নাট্য-নায়িকার অলোকসামান্য রূপ-রাশি সত্য সত্য দেখিব বলিয়। উন্মত্ত হওয়ার ন্যায়, একবারে দিব্যজ্ঞান প্রচারে প্রবৃত্ত হওয়া বিড়ম্বন মাত্র। বালককে জ্ঞান-শিক্ষা দিতে হইলে স্বচতুর বিচক্ষণ শিক্ষক অবশ্যই বালকের বুদ্ধিশক্তির দিকে मूड রাখিয়া সরল স্নমধুর ভাষায়, ইতিহাস উপন্যাস-ছলে, সাধারণ দৃষ্টাস্তে, ধীরে ধীরে তাহাকে তাহার মন্তব্য পথে লইয়। শ্যাইবেন । তদ্রুপ, বয়োবৃদ্ধ ধারণাশীল পুরুষকে জ্ঞান
পাতা:পরিব্রাজকের বক্তৃতা.djvu/৯৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।