১৩ এই খানে ধলায় কালোয় মেশামেশি, প্রয়াগের কিছু ভাব যেন। সৰ্ব্বত্র স্থলভ হলেও “গঙ্গাস্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে ।” তবে এ জায়গা বলে ঠিক গঙ্গার মুখ নয়। যা হোক আমি নমস্কার করি, “সৰ্ব্বতোক্ষি শিরোমুখং” বোলে। কি স্বন্দর। সামনে যতদূর দৃষ্টি যায়, ঘন নীলজল তরঙ্গায়িত, ফেনিল, বায়ুর সঙ্গে তালে তালে নাচ্চে । পেছনে আমাদের গঙ্গাজল, সেই বিভূতিভূষণা, সেই “গঙ্গা ফেনসিভ জটা পশুপতেঃ ”* সে জল অপেক্ষাকৃত স্থির। সামনে মধ্যবৰ্ত্তী রেখা। জাহাজ একবার সাদা জলের একবার কালো জলের উপর উঠছে। ঐ সাদা জল শেষ হয়ে গেল। এবার খালি নীলাম্বু, সামনে কবি কালিদাস অনেক দিন পর্ষ্যস্ত কাশ্মীর দেশের শাসন কর্তার পদে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন—একথা ঐ দেশের ইতিহাস পাঠে অবগত হওয়া যায়। রঘুবংশাদি বিবৃত হিমালয় বর্ণনা কাশ্মীর খণ্ডের হিমালয়ের দৃশ্বের সহিত অনেক স্থলে মিলে। কিন্তু কালিদাস কখন সমুদ্র দেখিয়াছিলেন কিনা সে বিষয়ে কোন প্রমাণ আমরা এপর্য্যন্ত পাই নাই । .শিবাপরাধ ভঞ্জন স্রোত্ৰ—শ্ৰীমৎ শঙ্করাচাৰ্য্য কৃত • সাগর সঙ্গম ঐ
পাতা:পরিব্রাজক.djvu/২২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।