পাতা:পর্ব্বত-কুসুম.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অঙ্ক । প্রথম দৃশ্য। হিমালয়—সুরধুনী-তীর। মহাদেব ও নন্দীর প্রবেশ । মহা । নন্দি । আর,অধিক দূরে যাবার প্রয়োজন নাই । এই স্থানটা অতি রমণীয়, অদূরে বেগবতী হুরধুনী প্রবাহিত। হচ্ছে , নিকটে দেবদারু বন, আহ ! এখানে শান্তিদেবী যেন মূৰ্ত্তিমর্তী হয়ে বিরাজ করছেন। নন্দি । আর কত কাল দীক্ষ্যায়ণীর বিরহ-যন্ত্রণা সহ্য করব,(স্বগত) প্রিয়ে ! আমি তোমাকে কত বিনয় বাক্যে বলেছিলাম, যে বিনা নিমন্ত্রণে পিত্রালয়ে যে ও না । সেই পামর নৃশংস রাক্ষস শিবষজ্ঞে ব্ৰতী হয়েছে, সে আমাদের মান কোন মতেই রক্ষা করবে না । প্রিয়ে ! আমি যা মনে করেছিলাম, অামার অদৃষ্টে তাই ঘটলে । সতি ! তোমার অসহ্য বিরহ-ঘাতন আর আমি সহ্য করতে পারিনে। ( প্রকাশে) নন্দি ! তুমি ঐ দেবদারু-তরুমূলে উপবেশন কর। আমি সেই সতীর মোহিনী মূৰ্ত্তি—পবিত্র মুক্তি হৃদয়ে ধারণ করে এই খানে বসে ধ্যান করি । ( মহাদেব ধ্যানোপবিষ্ট ও নন্দীর বৃক্ষমূলে উপবেশন । ) অদূরে উমা জয় ও বিজয়ার প্রবেশ । জয় । সখি! আজ উপবগের কি পরম রমণীয় শোভাই হয়েছে, কুহুম সকল প্রস্ফুটিত হয়ে বনপাদপ গুলি কেমন অপূৰ্ব্ব শ্ৰীধারণ করেছে ? সখি ! ঐ সরোবর পানে H.