পাতা:পর্ব্বত-কুসুম.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૦: পৰ্ব্বত-কুহম। সখি একি ! , সহসা স্বভাবের এত পরিবর্তন, এতে কখনই সম্ভবে না ? সখি ! ভ্রমরের স্বমধুর গুণ গুণ স্বরে হৃদয়তন্ত্রী বেজে উঠলো?—সই সঙ্গে সঙ্গে হৃদয়ওঁ যেন তালে তালে নৃত্য করতে উদ্যত। সখি এমন কেন হলো, হেমন্ত সময়ে বসন্তের প্রাদুর্ভাব তো কখনই হয় না । বসন্ত বাহার—যৎ । অকালে আমি কি সখি হইল বসন্তে:দয় । হৃদয় ভাগিল মুখে হাসিল গো দিকচয় ॥ শুষ্কতরু মঞ্জরিল, অলিকুল গুঞ্জ'রল, গাইল পঞ্চম তীনে, কন্স-কোকিল নিচয় । উঠিল মলয়ানিল, বাসন্তী ফুল ফুটিল, সংযোগী জনের আজি মুখে ন;fচল হৃদয় । মদন । সখা বসন্ত ! একবার কানন পানে চেয়ে দেখ, এমন রূপলাবণ্যসম্পন্ন রমণীরত্ব কি কোথাও দেখেছ ? দেবাদিদেব মহাদেবকে হিমালয়ে সমাগত দেখে, বোধ হয়, হিমালয়ের অধিষ্ঠাত্রী দেবী মোহিনী মূৰ্ত্তি ধারণ করে, র্তীর আরাধন কচ্চেন | আহি ! এমন রূপতো কোথাও দেখিনে ? বোধ হয়, বিধাতা নির্জনে বসে পৃথিবীর সমুদয় উপমান সংগ্রহ করে এই রমণীরতুকে স্বষ্টি করেচেন। বস। সখী ! দূরত। প্রযুক্ত ঘদিও স্পষ্ট জানা যাচ্চে না বটে, কিন্তু আমার বোধ হয়, ঐ রমণীরত্ব গিরিরাজ-নন্দিনী পাৰ্ব্বতী,তার আর কোন সন্দেহ মাই। (রতির প্রতি) সখি । তুমি তো সর্থী-সঙ্গে সর্বদাই হিমালয়ে বনবিহার কন্তে