পাতা:পর্ব্বত-কুসুম.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৰ্ব্বত-কুহুম t - లి কর। প্রিয়ে! কৈলাসে চল ; তোমার অভাবে মুখময় কৈলাস অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে আছে। বিধুমুখি ! তোমা বিহনে সাধের কৈলাস শ্ৰীশ্ৰষ্ট হয়েছে, কৈলাসের আর সে শোভা নাই। প্রিয়ে চল, এখানে আর থাকবার আবশ্যক নাই । উমা । সখি ! এ কেমন কথা, আমি পরাধিনী, কেমন করে ওঁর সঙ্গে সহসা কৈলাসে যাব, আর কেমন করেই বা . ওর গলায় বরমাল্য দেব । ভৈরবী—তাড়িাখেমটা । বল সই মহেশে মিনতি আমার । কেমনে গলীয় দিল প্রণয়র হার । উনি ত্রিলোকের স্বামী, নারী পরাধিনী অামি, হইব স্বেচ্ছাচারিণী, একি ব্যবহার’। গহন কানন মাঝে, বল সখি কোন লাজে, বরণ করব বরে অজ্ঞাতে পিতার— সখি পুরবাদী সবে, কত ছলে কত কবে, জীবনে নাহিক সবে, অবল বালায় । সখি ! কৈলাসনাথকে বল ; জনক জননীর অনুমতি । বিনে সহশ আত্ম সমৰ্পন করতে পারিনে । মহাদেব । প্রিয়ে তার জন্যে এত চিন্তা কেন ? পূর্বে নারদ কর্তৃক বিবাহের সম্বন্ধ এক প্রকার স্থির হয়েচে, তবে তোমার অনুরোধে আমি পূনৰ্ব্বার নারদকে তোমার পিতার নিকটে এই দণ্ডেই প্রেরণ করচি। প্ৰাণেশ্বরি! আমি ত্ৰখন চল্লেম,তুমি সখী সঙ্গে নিজালয়ে গমন কর । [ মহাদেবের প্রস্থান।