এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চিরদিনের দাগা
তাহে বাড়ায় অপরাধের ভার।
অবশেষে বর্মা থেকে পাত্র গেল জুটি।
অল্পদিনের ছুটি;
শুভকর্ম সেরে তাড়াতাড়ি
মেয়েটিরে সঙ্গে নিয়ে রেঙ্গুনে তার দিতে হবে পাড়ি।
শৈলকে যেই বলতে গেলেম হেসে
‘বুড়ো বরকে হেলা করে নবীনকে ভাই, বরণ করলি শেষে?’
অমনি যে তার দু চোখ গেল ভেসে
ঝর্ঝরিয়ে চোখের জলে। আমি বলি, ‘ছি ছি,
কেন শৈল, কাঁদিস মিছিমিছি—
করিস অমঙ্গল!’
বলতে গিয়ে চক্ষে আমার রাখতে নারি জল।
বাজল বিয়ের বাঁশি,
অনাদরের ঘর ছেড়ে হায় বিদায় হল দুষ্টু সর্বনাশী।
যাবার বেলা বলে গেল, ‘দাদা, তোমার রইল নিমন্ত্রণ—
তিন-সত্যি—যেয়ো যেয়ো!’ ‘যাব, যাব, যাব বৈকি বোন!’
আর কিছু না ব’লে
আশীর্বাদের মোতির মালা পরিয়ে দিলেম গলে।
চতুর্থ দিন প্রাতে
খবর এল, ইরাবতীর সাগর-মোহানাতে
১৩