এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পলাতকা
প্রাণের গোপন রহস্যতল কুঁড়ি
জানত না তো আপ্নাকে সে,
শুধায় নি তার নাম কোনোদিন বাহির হতে খেপা বাতাস এসে;
সেই কুঁড়ি আজ অন্তরে তার উঠছে ফুটে
মধুর রসে ভরে উঠে।
সে যে প্রেমের ফুল
আপন রাঙা পাপড়ি-ভারে আপনি সমাকুল।
আপ্নাকে তার চিনতে যে আর নাইকো বাকি,
তাই তো থাকি থাকি
চমকে ওঠে নিজের পানে চেয়ে।
আকাশ-পারের বাণী তারে ডাক দিয়ে যায় আলোর ঝর্না বেয়ে;
রাতের অন্ধকারে
কোন্-অসীমের-রোদন-ভরা বেদন লাগে তারে!
বাহির হতে তার
ঘুচে গেছে সকল অলংকার,
অন্তর তার রাঙিয়ে ওঠে স্তরে স্তরে—
তাই দেখে সে আপনি ভেবে মরে;
কখন কাজের ফাঁকে
জানলা ধ’রে চুপ করে সে বাইরে চেয়ে থাকে—
যেখানে ঐ সজনে গাছের ফুলের ঝুরি বেড়ার গায়ে
রাশি রাশি হাসির ঘায়ে
আকাশটারে পাগল করে দিবসরাতি!
৪২