এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পলাতকা
পড়তেছিলেন ইংরেজি এক প্রেমের উপন্যাস।
মা বললেন, বাতাস ক’রে গায়ে,
কখনো-বা হাত বুলিয়ে পায়ে,
‘যার খুশি সে নিন্দে করুক, মরুক বিষে জ্ব’রে,
আমি কিন্তু পারি যেমন ক’রে
মঞ্জুলিকার দেবই দেব বিয়ে।’
বাপ বললেন কঠিন হেসে, ‘তোমরা মায়ে ঝিয়ে
এক লগ্নেই বিয়ে কোরো আমার মরার পরে;
সেই কটা দিন থাকো ধৈর্য ধরে।’
এই ব’লে তাঁর গুড়গুড়িতে দিলেন মৃদু টান।
মা বললেন, ‘উঃ, কী পাষাণ প্রাণ,
স্নেহমায়া কিচ্ছু কি নেই ঘটে!’
বাপ বললেন, ‘আমি পাষাণ বটে।
ধর্মের পথ কঠিন বড়ো, ননির পুতুল হলে
এতদিনে কেঁদেই যেতেম গ’লে।’
মা বললেন, ‘হায় রে কপাল! বোঝাবই বা কারে?
তোমার এ সংসারে
ভরা ভোগের মধ্যখানে দুয়ার এঁটে
পলে পলে শুকিয়ে মরবে ছাতি ফেটে
একলা কেবল একটুকু ঐ মেয়ে,
ত্রিভুবনে অধর্ম আর নেই কিছু এর চেয়ে।
তোমার পুঁথির শুকনো পাতায় নেই তো কোথাও প্রাণ—
88