এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নিষ্কৃতি
দরদ কোথায় বাজে সেটা অন্তর্যামী জানেন ভগবান।’
বাপ একটু হাসল কেবল, ভাবলে, ‘মেয়েমানুষ
হৃদয়তাপের-ভাপে-ভরা ফানুষ।
জীবন একটা কঠিন সাধন, নেই সে ওদের জ্ঞান।’
এই বলে ফের চলল পড়া ইংরেজি সেই প্রেমের উপাখ্যান।
দুখের তাপে জ্ব’লে জ্ব’লে অবশেষে নিবল মায়ের তাপ;
সংসারেতে একা পড়লেন বাপ।
বড়ো ছেলে বাস করে তার স্ত্রীপুত্রদের সাথে
বিদেশে পাটনাতে।
দুই মেয়ে তার কেউ থাকে না কাছে,
শ্বশুরবাড়ি আছে।
একটি থাকে ফরিদপুরে,
আরেক মেয়ে থাকে আরো দূরে
মাদ্রাজে কোন্ বিন্ধ্যগিরির পার।
পড়ল মঞ্জুলিকার ’পরে বাপের সেবা-ভার।
রাঁধুনে ব্রাহ্মণের হাতে খেতে করেন ঘৃণা;
স্ত্রীর রান্না বিনা
অন্নপানে হত না তাঁর রুচি—
সকাল বেলায় ভাতের পালা, সন্ধ্যা বেলায় রুটি কিম্বা লুচি,
ভাতের সঙ্গে মাছের ঘটা,
৪৫