পাতা:পলাতকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পলাতকা

ব্রহ্মচর্যব্রত
আমার কাছেই শিক্ষা যে ওর। নইলে দেখতে অন্যরকম হ’ত।
আজকালকার দিনে
সংযমেরই কঠোর সাধন বিনে
সমাজেতে রয় না কোনো বাঁধ;
মেয়েরা তাই শিখছে কেবল বিবিয়ানার ছাঁদ।’

স্ত্রীর মরণের পরে যবে
সবেমাত্র এগারো মাস হবে
গুজব গেল শোনা,
এই বাড়িতে ঘটক করে আনাগোনা।
প্রথম শুনে মঞ্জুলিকার হয় নিকো বিশ্বাস;
তার পরে সব রকম দেখে ছাড়লে সে নিশ্বাস।
ব্যস্ত সবাই, কেমনতরো ভাব—
আসছে ঘরে নানারকম বিলিতি আসবাব।
দেখলে বাপের নতুন করে সাজসজ্জা শুরু,
হঠাৎ কালো ভ্রমরকৃষ্ণ ভুরু,
পাকা চুল সব কখন হল কটা,
চাদরেতে যখন-তখন গন্ধ মাখার ঘটা।

মার কথা আজ মঞ্জুলিকার পড়ল মনে
বুক-ভাঙা এক বিষম ব্যথার সনে।

৫০