এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মালা
হাতে নিয়ে রিক্ত আপন থালা;
তবু বলে, চায় না বিজয়মালা।
সিংহাসনে একলা বসে রানী
মূর্তিমতী বাণী।
ঝংকারিয়া গুঞ্জরিয়া সভার মাঝে
আমার বীণা বাজে।
কখনো বা দীপকরাগে
চমক লাগে,
তারা বৃষ্টি করে;
কখনো বা মল্লারে তার অশ্রুধারার পাগল-ঝোরা ঝরে।
আর-সকলে গান শুনিয়ে নতশিরে
সন্ধ্যাবেলার অন্ধকারে ধীরে ধীরে
গেছে ঘরে ফিরে।
তারা জানে, যেই ফুরাবে আমার পালা
আমি পাব রানীর বিজয়মালা।
আমাদের সেই তরুণ সাথি বসে থাকে ধুলায় আসন-তলে;
কথাটি না বলে।
দৈবে যদি একটি-আধটি চাঁপার কলি
পড়ে স্খলি
৫৫