পাতা:পলাতকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পলাতকা

রানীর আঁচল হতে মাটির ’পরে
সবার অগোচরে
সেইটি যত্নে নিয়ে তুলে
পরে কর্ণমূলে।
সভাভঙ্গ হবার বেলায় দিনের শেষে
যদি তারে বলি হেসে
‘প্রদীপ জ্বালার সময় হল সাঁঝে,
এখনো কি রইবে সভা-মাঝে?’
সে হেসে কয়, ‘সব সময়েই আমার পালা—
আমি যে ভাই, চাই নে বিজয়মালা।’

আষাঢ় শ্রাবণ অবশেষে
গেল ভেসে
ছিন্ন মেঘের পালে—
গুরু গুরু মৃদঙ্গ তার বাজিয়ে দিয়ে আমার গানের তালে।
শরৎ এল, শরৎ গেল চলে;
নীল আকাশের কোলে
রৌদ্রজলের কান্নাহাসি হল সারা;
আমার সুরের থরে থরে ছড়িয়ে গেল শিউলিফুলের ঝারা।
ফাগুন চৈত্র আম-মউলের সৌরভে আতুর,
দখিন-হাওয়ার আঁচল ভরে নিয়ে গেল আমার গানের সুর।
কণ্ঠে আমার একে একে সকল ঋতুর গান

৫৬