পাতা:পলাতকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

মালা

যদি রে তোর ভাগ্যদোষে
ধুলায় কিছু পড়ে থাকে খসে।
যদি সোনার থালা
লুকিয়ে রাখে আর-কোনো এক মালা!

সন্ধ্যাকাশে শান্ত তখন হাওয়া;
দেখি, সভার দুয়ার বন্ধ, ক্ষান্ত তখন সকল চাওয়া পাওয়া।
নাই কোলাহল, নাইকো ঠেলাঠেলি,
তরুশ্রেণী স্তব্ধ যেন শিবের মতন যোগের আসন মেলি।
বিজন পথে আঁধার গগনতলে
আমার মালার রতনগুলি আর কি তেমন জ্বলে?
আকাশের ঐ তারার কাছে
লজ্জা পেয়ে মুখ লুকিয়ে আছে।
দিনের আলোয় ভুলিয়েছিল মুগ্ধ আঁখি,
আঁধারে তার ধরা পড়ল ফাঁকি।
এরই লাগি এত বিবাদ, সারা দিনের এত দুখের পালা?
লও ফিরে লও তোমার বিজয়মালা!

ঘনিয়ে এল রাতি।
হঠাৎ দেখি, তারার আলোয় সেই-যে আমার পথের তরুণ সাথি
আপন-মানে
গান গেয়ে যায় রানীর কুঞ্জবনে।

৫৯