পাতা:পলাতকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পলাতকা

লক্ষ্য ক’রে বৈতরণীর ঘাট;
গম্ভীরতার স্তম্ভিত ভার বহন ক’রে প্রাণটা হবে কাঠ।
সময় নষ্ট হবে না আর দিনে রাতে,
দৌড়বে মন লেখার খাতার শুকনো পাতে পাতে;
বৈঠকেতে চলবে আলোচনা
কেবলই সৎপরামর্শ, কেবলই সদ্‌বিবেচনা।

ঘরের সকল আকাশ ব্যেপে
দারুণ শূন্য রয়েছে মোর চৌকি টেবিল চেপে।
তাই সেখানে টিকতে নাহি পারি;
বৈরাগ্যে মন ভারী,
উঠোনেতে করছিনু পায়চারি।
এমন সময় উঠল মাটি কেঁপে—
হঠাৎ কে এক ঝড়ের মতো বুকের ’পরে পড়ল আমার ঝেঁপে।
চমক লাগল শিরে শিরে,
হঠাৎ মনে হল বুঝি বিজুই আমার এল আবার ফিরে!
আমি শুধাই, ‘কে রে! কী রে!’
‘আমি ভোলা’ সে শুধু এই কয়,
এই যেন তার সকল পরিচয়—
আর কিছু নেই বাকি।
আমি তখন অচেনারে দু হাত দিয়ে বক্ষে চেপে রাখি।
সে বললে, ‘ঐ বাইরে তেঁতুল গাছে

৬৪