এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ছিন্ন পত্র
কর্ম যখন দেব্তা হয়ে জুড়ে বসে পূজার বেদী,
মন্দিরে তার পাষাণপ্রাচীর অভ্রভেদী
চতুর্দিকেই থাকে ঘিরে;
তারই মধ্যে জীবন যখন শুকিয়ে আসে ধীরে ধীরে—
পায় না আলো, পায় না বাতাস, পায় না ফাঁকা,
পায় না কোনো রস—
কেবল টাকা, কেবল সে পায় যশ,
তখন সে কোন্ মোহের পাকে
মরণ-দশা ঘটেছে তার সেই কথাটাই ভুলে থাকে।
আমি ছিলেন জড়িয়ে প’ড়ে সেই বিপাকের ফাঁসে;
বুহৎ সর্বনাশে
হারিয়েছিলেম বিশ্ব জগৎখানি।
নীল আকাশের সোনার বাণী
সকাল-সাঁঝের বীণার তারে
পৌঁছত না মোর বাতায়ন-দ্বারে।
ঋতুর পরে আসত ঋতু শুধু কেবল পঞ্জিকারই পাতে,
আমার আঙিনাতে
আনত না তার রঙিন পাতার ফুলের নিমন্ত্রণ।
৬৭