এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ছিন্ন পত্র
সেদিন তখন দু-তিন রাত্রি ধরে
গত-সনের রিপোর্ট্খানা লিখেছি খুব জোরে।
বাছাই হবে নতুন সনের সেক্রেটারি,
হস্তা-তিনেক মরতে হবে ভোট কুড়োতে তারি।
শিতের দিনে যেমন পত্রভার
খসিয়ে ফেলে গাছগুলো সব কেবল শাখা-সার
আমার হল তেমনি দশা;
সকাল হতে সন্ধ্যা-নাগাদ এক টেবিলেই বসা;
কেবল পত্র রওনা করা,
কেবল শুকিয়ে মরা।
খবর আসে ‘খাবার তৈবি’, নিই নে কথা কানে;
আবার যদি খবর আনে
বলি ক্রোধের ভরে,—
‘মরি এমন নেই অবসর, খাওয়া তো থাক্ পরে।’
বেলা যখন তাড়াইটে প্রায়, নিঝুম হল পাড়া,
আর-সকলে স্তব্ধ কেবল গোটাপাঁচেক চড়ুই পাখি ছাড়া,
এমন সময় বেহারাটা ডাকের পত্র নিয়ে
হাতে গেল দিয়ে।
জরুরি কোন্ কাজের চিঠি ভেবে
খুলে দেখি বাঁকা লাইন, কাঁচ আখর চলছে উঠে নেবে,
নইকো দাঁড়ি কমা—
৬৯