পাতা:পলাতকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আসল

মাথার ’পরে উদার নীলাঞ্চল
সোনার আভায় করত ঝলোমল।
সাত-সমুদ্র তেরো-নদীর সুদূর পারের বাণী
আমার কাছে দিতেন আনি।
ম্যাপের সঙ্গে হত না তার মিল;
বইয়ের সঙ্গে ঐক্য তাহার ছিল না এক তিল।
তার চেহারা নয় তো অমন মস্ত ফাঁকা;
আঁচড়-কাটা আখর-আঁকা
নয় সে তো কোন্‌ মাইল-মাপা বিশ্ব—
অসীম যে তার দৃশ্য, আবার অসীম সে অদৃশ্য।


এখন আমার বয়স হল ষাট—
গুরুতর কাজের ঝঞ্চাট।
পাগল ক’রে দিল পলিটিক্‌স্‌এ;
কোন্‌টা সত্য কোন্‌টা স্বপ্ন আজকে নাগাদ হয় নি জানা ঠিক সে—
ইতিহাসের নজির টেনে সোজা
একটা দেশের ঘাড়ে চাপাই আর-এক দেশের কর্মফলের বোঝা;
সমাজ কোথায় পড়ে থাকে, নিয়ে সমাজতত্ত্ব
মাসিক পত্রে প্রবন্ধ উন্মত্ত।
যত লিখছি কাব্য
ততই নোংরা সমালোচন হতেছে অশ্রাব্য।

৮১