পাতা:পলাতকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পলাতকা

কথায় কেবল কথারই ফল ফলে,
পুঁথির সঙ্গে মিলিয়ে পুঁথি কেবলমাত্র পুঁথিই বেড়ে চলে।

আজ আমার এই ষাট বছরের বয়স-কালে
পুঁথির সৃষ্টি জগৎটার এই বন্দীশালে
হাঁপিয়ে উঠলে প্রাণ
পালিয়ে যাবার একটি আছে স্থান—
সেই মহেশের পাশে
পাড়ায় যারে পাগল ব’লে হাসে।
পাছে পাছে
ছেলেগুলো সঙ্গে যে তার লেগেই আছে।
তাদের কলরবে
নানান উপদ্রবে
এক মুহূর্ত পায় না শান্তি,
তবু তাহার নাই কিছুতেই ক্লান্তি।
বেগার-খাটা কাজ
তারই ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে কেউ মানে না লাজ।
সকাল বেলায় ধরে ভজন গলা ছেড়ে;
যতই সে গায় বেসুর ততই চলে বেড়ে।
তাই নিয়ে কেউ ঠাট্টা করলে এসে
মহেশ বলে হেসে,—
‘আমার এ গান শোনাই যাঁরে

৮২