এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০০
পলাশির যুদ্ধ।
ভয়, মানবের সুখ-সম্ভোগ বিনাশি,
ভীষ্ম-শরশয্যা আজি করেছে পলাশি!
৪৮
গভীব নীরব এবে নবাব-শিবির।
দাস দাসী কক্ষে কক্ষে জাগিছে নীরবে।
কেবল জ্বলিছে দীপ; বহিছে সমীর,
সশঙ্কিত চিত্তে যেন সর সর রবে।
ঘন ঘন নবাবের মলিন বদনে
বিকাশিছে স্বেদ-বিন্দু উৎকট স্বপন।
পর্য্যঙ্ক উপবে বসি বিষাদিত মনে
শান্ত অশ্রুমুখী সেই রমণীরতন,
রুমালে কোমল করে সেই স্বেদজল
নীববে কাঁদিযা রাণী মুছিছে কেবল।
৪৯
প্রেমপূর্ণ স্থির নেত্রে, আনত বদনে,
চেযে আছে বিষাদিনী পতিমুখ পানে
বিলম্বিত কেশরাশি, অবরি আননে
পড়িষাছে পতিবক্ষে, শয্যা উপাধানে।
এক ভুজবল্লী শোভে পতি-কণ্ঠতলে,
অন্য কবে মুছে নাথ-বদন-মণ্ডল,