এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চম সর্গ।
১৫১
হতভাগ্য নবাবের যত মহিষীর
শুনেছে রোদনধ্বনি, চিত্ত দ্রবকর।
জাহ্নবী-তিমির-গর্ভ-খনির ভিতরে
রমণী-রতনরাশি“—বাক্য নাহি সরে।
১৫
দাঁড়াইল অনুচর স্তম্ভিত অন্তরে,
যেন কেই অকস্মাৎ গ্রীবা নিষ্পীড়নে
করিয়াছে কণ্ঠরোধ। মুহূর্ত্তেক পরে,—
“যুবরাজ হায়! এই উদর কারণে
কত হত্যা কত পাপ করেছি সাধন,
কিন্তু এই শেষ”—চর নীরব আবার—
“অন্ধকারে বিদারিয়া জাহ্নবী-জীবন
করুণ মুমুর্ষূ যেই নারী-হাহাকার
উঠিল আকাশপথে,—জীবনে, মরণে,
নিরন্তর সেই ধ্বনি বাজিবে শ্রবণে।
১৬
“বলিল সে ধ্বনি যেন নিয়তিবচন——
‘বিনা দোষে ডুবাইল যত অবলারে,
বিনা মেঘে বজ্রাঘাতে মরিবে মিরণ।”
নারীহস্তা পাপিষ্ঠের এই সমাচারে,